০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতার সমাধানে শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবি

-


সম্প্রতি ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে সাতক্ষীরা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিয়েছে। হাজার হাজার হেক্টর মৎস্য ঘের ডুবে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন মৎস্য চাষিরা। সঙ্কট উত্তরণে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যত ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে জলাবদ্ধতা নিরসনে সাত দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) পড়ুয়া সাতক্ষীরার শিক্ষার্থীরা।
গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানিয়ে এ সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন জেলাটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দর্শন বিভাগের মো: মিকাইল ইসলাম, কারুশিল্প বিভাগের তন্ময় মণ্ডল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শেখ শাকিল হোসেন এবং চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগের সাকিব হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানে সরকারের কাছে সাত দফা দাবি পেশ করেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো : ১) বেতনা-মরিচ্চাপ নদীসহ অনান্য নদী ও খালের প্রবাহ স্বাভাবিক না করলে এবং জোয়ার-ভাটার পথ উন্মুক্ত না করলে তা কখনোই জলাবদ্ধতার সঙ্কট দূরীকরণে কাজে আসবে না। সুতরাং, নদী-খাল খননে যথাযথ প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। প্রকল্পগুলো কার্যকরী পদ্ধতিতে এবং সময়মতো শেষ করতে হবে। চলমান প্রকল্পগুলো অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে হবে। ২) খাল বা জলমহালের ইজারা ফের বাতিল করতে হবে। অবৈধ ভোগ-দখল ও নেট-পাটা উচ্ছেদ করতে হবে। নদী ও খালের প্রবাহ বিঘিœত হয় এমন উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া যাবে না। ৩) নদী-খাল খননের সাথে সাথে সংলগ্ন বেড়িবাঁধগুলো টেকসই করতে হবে। বেড়িবাঁধে বনায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। ৪) প্রাণসায়ের খালের দুই মুখ উন্মুক্ত করে স্বাভাবিক প্রবাহ ফেরানোর উদ্যোগ নিতে হবে। সাতক্ষীরা শহরকে পুরোপুরি ড্রেনেজ নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে হবে। ৫) পৌরসভা এলাকাসহ যত্রতত্র মৎস্য ঘের নিষিদ্ধে ‘জোনিং’ করতে হবে। অন্যান্য জায়গায় আউট ড্রেন রেখে মৎস্য ঘের করতে হবে, যাতে পানি নিষ্কাশনের পথ থাকে। ৬) সাতক্ষীরা প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমের আগেই পানি নিষ্কাশনের পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হবে। অকেজো স্লুইস গেটগুলো সংস্কার করতে হবে।

৭) লস অ্যান্ড ড্যামেজ নিরূপণের মাধ্যমে জলবায়ু ফান্ডের অর্থ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে পুনর্বাসনের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৪ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার দিনে সাতক্ষীরায় ২৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে সাতক্ষীরা সদর এবং তালা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ধরনের সঙ্কট নতুন নয়। বছরের পর বছর এমনটি হচ্ছে। এসব দুর্যোগে বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি কোটি কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন জেলাটির বাসিন্দারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওপর অভিযোগ এনে তারা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এ সঙ্কট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও অনিয়মের খেসারত দিতে হচ্ছে সাতক্ষীরাবাসীকে। কোটি কোটি টাকার নদী খনন প্রকল্প হলেও এসব প্রকল্পে অনিয়মের কারণে খননের প্রকৃত উদ্দেশ্য হাসিল হচ্ছে না।
‘অবাস্তব’ নকশায় নদী-খাল খনন করা হয় উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, নদী খনন করে খাল এবং খাল খনন করে নালা বানানো হয়। এর ফলে স্থলভাগের নিরিখে নদীর তলদেশ নিচু হয় না এবং স্থলভাগের পানি নদীতে যায় না। উপরন্তু নদীর পানি বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করে। সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের প্রভাষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ইদ্রিস আলী।
সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল আলম বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময়, সাতক্ষীরা জেলার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
খেলাপি ঋণে আর ছাড় নয় রাষ্ট্র সংস্কারের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বসবে সরকার স্থল হামলা মোকাবেলায় প্রস্তুত হিজবুল্লাহ শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার আশুলিয়ায় শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ, নিহত ১ অনুপস্থিত থাকায় ইউপি চেয়ারম্যানরা অপসারণ হচ্ছেন সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, মুক্তি পাবেন গ্রেফতারকৃতরা উত্তরবঙ্গে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের প্রতি তারেক রহমানের আহ্বান অটোমেটেড ব্যবস্থা অপচয় ও দুর্নীতি কমাচ্ছে : অর্থ উপদেষ্টা ২০ হাজার ভিসা আবেদনকারীর পাসপোর্ট ফেরত দিল ভারতীয় হাইকমিশন

সকল