কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে নিজ কার্যালয়ে গুলি করে হত্যা
- দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা
- ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০২
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে নিজ কার্যালয়ে দাফতরিক কাজ করার সময় তার ওপর গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত এলাকাবাসী বেশ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট এবং আগুন লাগিয়ে দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদে যেতেন চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টু। সোমবার সকালেও অন্য দিনের মতো বাড়ি থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদে যান এবং সেখানে নিজ কার্যালয়ে বসে দাফতরিক কাজকর্ম করছিলেন। এ সময় সেখানে কয়েকজন গ্রাম পুলিশ এবং দুই ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কার্যালয়ের পেছনের দিকের জানালা দিয়ে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান নঈমুদ্দীন সেন্টু।
এদিকে চেয়ারম্যানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা বেশ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট ও আগুন লাগিয়ে দেয়। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গেলে তাদের উপর চড়াও হন তারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানায়, নঈমুদ্দিন সেন্টু একসময় বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কোনো কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিল না। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ সময় তাকে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে ওঠাবসা করতে দেখা যায়। এর আগেও তিনি একই ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী গ্রাম পুলিশ নাসির উদ্দিন জানান, তিনি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের বাইরে বসেছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কার্যালয়ের পেছনের জানালা দিয়ে চার পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। গুলির শব্দ শুনে তিনি প্রাণভয়ে পরিষদের একটি কক্ষে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। কিছুক্ষণ পর তিনি ওই কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে দেখেন চেয়ারম্যান সেন্টুর গুলিবিদ্ধ নিথর লাশ ফ্লোরে পড়ে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসী জানান, হত্যাকাণ্ড শেষে দুর্বৃত্তরা পদ্মা নদী দিয়ে ট্রলারযোগে পালিয়ে গেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা