২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

ছাত্র হত্যার বিচার দাবিতে যাত্রাবাড়ীতে অবরোধ

স্বারাষ্ট্র উপদেষ্টার আশ্বাসে প্রত্যাহার
-

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় নৃশংসতায় নেতৃত্ব দেয়া দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিচার ও ডিএমপি থেকে তাদের প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর জিরো পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শোনেন উপদেষ্টা। আশ্বাস দেন সব হত্যাকাণ্ড এবং নৃশংসতার তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের কয়েক শ’ শিক্ষার্থী অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচি পালনকালে দুপুর নাগাদ গুলিস্তান-পল্টনের সড়কে সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বেলা সোয়া ৩টার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে সচিবালয়ের গেটে জড়ো হন। বিষয়টি জানতে পেরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাদের মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানান। ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি উপদেষ্ঠার সাথে দেখা করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের নৃশংসতা তুলে ধরেন।
তারা পুলিশের গুলিতে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী ইমাম হাসান ভূঁইয়া তাইমসহ শতাধিক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে হত্যার তথ্য তুলে ধরেন। তারা জানান, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন ও পরিদর্শক (অপারেশন) ওয়াহিদুল হক ঠাণ্ডা মাথায় অতি কাছ থেকে তাইমের বুকে শতাধিক রাউন্ড গুলি করে হত্যা করে। যাত্রাবাড়ী এলাকায় হত্যায় মাতোয়ারা সেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা এখনো ডিএমপিতে কর্মরত। তাদের প্রত্যাহারপূর্বক আটক করে শাস্তির মুখোমুখি করার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শোনেন এবং যাত্রবাড়ীসহ সারা দেশের নৃশংসতা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করার আশ্বাস দেন। উপদেষ্টার আশ্বাস পেয়ে বিকেলে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে সড়ক থেকে উঠে যান।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিজয়লগ্নে এবং এর কয়েক দিন আগে থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। পুলিশের ওয়ারি বিভাগের ডিসি ইকবালসহ যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আবুল হাসান, পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন ও পরিদর্শক (অপারেশন) ওয়াহিদুল হক এই হত্যাযজ্ঞের নেতৃত্ব দেন। ডিসি ইকবাল ও ওসি আবুল হাসানকে আটক করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন ও পরিদর্শক (অপারেশন) ওয়াহিদুল হক। তারা এখনো ডিএমপিতে কর্মরত। এদের দু’জনকে প্রত্যাহার ও আটক করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা গতকাল রাজপথে নেমে এসেছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement