২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫ পৌষ ১৪৩১, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘সময়ের বিরুদ্ধে দৌড়ে’ আছে মানবতা : জাতিসঙ্ঘ

- ছবি : বাসস

মানবতা যখন মারাত্মক ঝুঁকি এড়াতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিশাল উদীয়মান শক্তিকে সকলের মঙ্গলের জন্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে সময়ের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় রয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতিসঙ্ঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন।

জাতিসঙ্ঘের ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস ইউনিয়নের (আইটিইউ) প্রধান ডরিন বোগদান-মার্টিন বলেন, ‘আমরা জিনিটিকে বোতল থেকে বের করে দিয়েছি।’

জেনেভায় দু’দিনের এআই ফর গুড গ্লোবাল সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা সময়ের বিরুদ্ধে একটি দৌড়ে আছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাম্প্রতিক উন্নয়নগুলো অসাধারণ কিছু নয়।’

কনফারেন্সে জড়ো হওয়া হাজার হাজার মানুষ শুনেছিল কিভাবে জেনারেটিভ এআই-এর অগ্রগতি ইতোমধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তন, ক্ষুধা এবং সামাজিক যত্নের মতো বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোর সমাধান করার প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করছে।

বোগদান-মার্টিন শীর্ষ সম্মেলনের আগে একটি ই-মেলে এএফপি’কে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের কাছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে গাইড করার জন্য একটি প্রজন্মের সুযোগ রয়েছে যা বিশ্বের সমস্ত মানুষের উপকারে আসে।’

কিন্তু তিনি বৃহস্পতিবার দুঃখ প্রকাশ করেন, মানবতার এক-তৃতীয়াংশ এখনো সম্পূর্ণ অফলাইনে রয়ে গেছে এবং ‘কন্ঠস্বর ছাড়াই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপ্লব থেকে বাদ পড়েছ‘।

মার্টির আরো বলেন, ‘এই ডিজিটাল এবং প্রযুক্তিগত যুগে এখন বিভাজন আর গ্রহণযোগ্য নয়।’

বোগদান-মার্টিন হাইলাইট করেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ‘ভালো এবং খারাপ উভয়ের জন্যই অপার সম্ভাবনা’ রাখে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেমগুলোকে নিরাপদ করতে’ অত্যাবশ্যক।

বোগদান বলেন, ‘এটি এখন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ‘২০২৪ হলো ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী বছর’।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েক ডজন দেশে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, ‘অত্যাধুনিক গভীর নকল তথ্য প্রচারের উত্থানের সাথে এটি সবচেয়ে বিতর্কিতও বটে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই অপব্যবহার শুধু গণতন্ত্রকেই হুমকির মুখে ফেলে না, এটি তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যকেও বিপন্ন করে এবং সাইবার-নিরাপত্তার সাথে আপস করে।’

এই সপ্তাহে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গভর্নেন্সের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা একটি পৃথক ইভেন্টে এক ভাষণে আইটিইউ প্রধান বলেন, ‘এআই-এর শক্তি খুব কম লোকের হাতে কেন্দ্রীভূত।’

বোগদান-মার্টিন প্রশংসা করেন, সরকার এবং অন্যরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের চারপাশে নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষার ওপর আরো বেশি মনোযোগী হয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি নতুন আইনের অধীনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি এআই অফিস তৈরির ঘোষণা দিয়েছে।

বোগদান-মার্টিন বলেন, ‘মানবতা এবং প্রযুক্তির মহান গল্পের পরবর্তী অধ্যায়টি লেখা এবং এটিকে নিরাপদ, এটিকে অন্তর্ভুক্ত করা, এবং এটিকে টেকসই করা আমাদের দায়িত্ব।’

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
কুড়িগ্রামে শীত, বিপাকে হতদরিদ্ররা উত্তরায় রেস্টুরেন্টে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট অত্যাধুনিক কম্পিউটার চিপে চীন ও রাশিয়ার প্রবেশাধিকার ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা ‘অপর্যাপ্ত’ বায়ুদূষণে আজ দ্বিতীয় ঢাকা আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিলেন অধ্যাপক ইউনূস চৌগাছায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পলিথিনে ঢাকা বীজতলা সাবেক এমপি আনারের দেহাংশের সাথে মিলেছে মেয়ের ডিএনএ, দাবি ভারতীয় সিআইডির নাসিরনগরে তৈরি হচ্ছে দেশীয় মাছের নানা জাতের শুটকি লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজস্থানে পেট্রোল পাম্পের সামনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৫ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয় : নাগরিক কমিটি

সকল