২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

৬০-এর ‘ষোড়শী’ আলেজান্দ্রা মিস ইউনিভার্স

আলেজান্দ্রা মরিসা রডরিগেজ - ছবি : সংগৃহীত

বয়স ষাট। তবে ষোড়শীর চেয়ে কোনো অংশে কম যান না তিনি। তাই সময়ের অঙ্কে পিঠে ছাপ পড়ে যাওয়ায় ‘প্রবীণ’ তকমা ঝেড়ে ফেলে ৬০ বছর বয়সে বিশ্বসুন্দরীর মুকুট মাথায় পরলেন ‘ষাটের ষোড়শী’ আলেজান্দ্রা মরিসা রডরিগেজ । ইতিহাস তো বটেই, একইসাথে চমকে দিলেন গোটা বিশ্বকে।

গত ২৪ এপ্রিল বসেছিল বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার আসর। প্রতিযোগীর সংখ্যাও নেহাত কম ছিল না। ১৮ থেকে ৭৩ নানা বয়সের ৩৫ জন নারী যোগ দিয়েছিলেন এই সুন্দরের প্রতিযোগিতায়। সেখানেই হাঁটুর বয়সীদের পিছনে ফেলে বিশ্বসেরা সুন্দরীর খেতাব জিতে নিলেন আলেজান্দ্রা। এত বয়সে কিভাবে এই প্রতিযোগিতা জিতলেন ‘ষাটের ষোড়শী’?

জানা যাচ্ছে, ১৯৫২ সাল থেকেই বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার নিয়ম ছিল, প্রতিযোগীর বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে হতে হবে। ২০২৩ সালে এই নিয়মের বদল ঘটায় কর্তৃপক্ষ। জানানো হয় যেকোনো বয়সের নারী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন। নিয়ম বদলাতেই তার সুযোগ নেন আত্মবিশ্বাসী আলেজান্দ্রা। বাকিটা ইতিহাস।

জানা যাচ্ছে, আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আইরেসের লা প্লাতার বাসিন্দা আলেজান্দ্রা মরিসা রডরিগেজ। হাইস্কুল পাস করার পর সাংবাদিকতায় মাধ্যমে শুরু করেন কর্মজীবন। এর পর আইনের ডিগ্রি নিয়ে পাকাপাকিভাবে হয়ে ওঠেন আইনজীবী। আলেজান্দ্রা অবশ্য বিশ্বাস করেন, এই সুন্দরের প্রতিযোগিতায় বয়সের হিসেবে অনেকর চেয়ে যথেষ্ট প্রবীণ তিনি। তবে বাস্তবে তার শরীরে ছাপ ফেলতে পারেনি বয়স।

এই বয়সেও মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার মতো সৌন্দর্যের রহস্যও এদিন ফাঁস করেছেন আলেজান্দ্রা। তার দাবি, জীবনযাত্রায় নিয়মানুবর্তিতা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসই এই রহস্যের মূল চাবিকাঠি। তিনি বলেন, 'মূল বিষয়টি হলো স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। ভালো খাওয়া, শারীরিক অনুশীলন, এগুলোই একমাত্র পথ সুন্দর হওয়ার।'


আরো সংবাদ



premium cement