০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`

শিশু সাহিত্যিক আলী ইমাম আর নেই

শিশু সাহিত্যিক আলী ইমাম আর নেই - ছবি : সংগৃহীত

না ফেরার দেশে চলে গেছেন জনপ্রিয় শিশু সাহিত্যিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার পরিবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শরীরের নানা জটিলতাসহ শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা, নিউমোনিয়া ও নিম্ন রক্তচাপে ভুগছিলেন।

সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ইন্তেকাল হয়। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭২।

আলী ইমাম ১৯৫০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছয় শ’র অধিক বই রচনা করেছেন। কর্মজীবনের শেষপ্রান্তে তিনি একাধিক স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন (২০০৪-২০০৬) ও সদ্যবিলুপ্ত চ্যানেল ওয়ানের (২০০৭-২০০৮) মহাব্যবস্থাপক ছিলেন।

১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ইউনিসেফের ‘মা ও শিশুর উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রম প্রকল্প’-এর পরিচালক ছিলেন। ওই দায়িত্ব পালনকালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, জার্মানির মিউনিখ, ব্রাজিলের রিওতে অনুষ্ঠিত ‘চিলড্রেন মিডিয়া সামিটে’ যোগদান করেছিলেন। মিউনিখে অনুষ্ঠিত ‘প্রি জুঁনেসি চিলড্রেনস টিভি প্রোডাকশন প্রতিযোগিতা’র (২০০০) জুরির দায়িত্বও তিনি পালন করেছিলেন।

তিনি ছিলেন ‘সার্ক অডিও ভিজুয়াল বিনিময় অনুষ্ঠানে’র প্রধান সমন্বয়কারী (২০০০-২০০১)। টেলিভিশন ও বেতারে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের নির্মাতা ও উপস্থাপক হিসেবে তিনি সবিশেষ প্রশংসা কুড়িয়ে ছিলেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘হ্যালো, আপনাকে বলছি’ (১৯৯৯-২০০৪) নামে তার উপস্থাপিত সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিখ্যাত প্রামাণ্য শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া’রও (১৯৮০-১৯৮৭) প্রযোজনা করেছিলেন তিনি।

বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য আলী ইমাম ২০০১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০১২ সালে পেয়েছিলেন শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার। এছাড়া তিনি ইকো সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৭), নেধুশাহ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৭), লেখিকা সংঘ পুরস্কারও (১৯৯০) অর্জন করেছিলেন।

শিশুসাহিত্যিক হিসেবে জাপান ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ২০০৪ সালে তিনি জাপান পরিভ্রমণ করেছিলেন।

আলী ইমামের শিশুসাহিত্য চর্চার শুরু শৈশব থেকেই। ১৯৬৮ সালে তিনি তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান শিক্ষা সপ্তাহে বিতর্ক ও উপস্থিত বক্তৃতায় চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৮৬ সালে ইউনেস্কো আয়োজিত শিশুসাহিত্য বিষয়ক প্রকাশনা কর্মশালায়ও অংশ নেন। এছাড়া বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রকাশনা বিভাগের ন্যাশনাল কমিশনারেরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement
দিল্লি জামে মসজিদ নিয়ে হিন্দুসেনার দাবি কক্সবাজার সৈকতে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের তৈরি রোবট দানব যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান গ্রেফতার সাভারে দাফন করা ব্যক্তিই হারিছ চৌধুরী তদন্ত প্রতিবেদনসহ আমু-কামরুলকে ১৭ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেশের ৬৯ কারাগারের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ১৭ : কারা মহাপরিদর্শক আমরা হিন্দু-মুসলমান একসাথে লড়াই করে দিল্লির দাসত্বকে খান খান করে দেবো : রিজভী আজমির শরিফ : খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগাহের ইতিহাস জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া ও আমেরিকার বাকবিতণ্ডা ‘শেখ হাসিনা সরকার সবকিছু ধ্বংস করে গেছে’ পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ১২ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর

সকল