'ভালো-ভালো কর্মীরাই থেকে যাচ্ছে’, গণ-ইস্তফায় ডোন্ট কেয়ার মনোভাব ইলন মাস্কের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ নভেম্বর ২০২২, ১৪:৪৪
কর্মীদের গণ-ইস্তফা সংক্রান্ত এক টুইটের উত্তরে ইলন মাস্ক বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো কর্মীরা থাকছেন। আমি খুব বেশি চিন্তিত নই।’ প্রচুর কাজের চাপ। আর হঠাৎ হঠাৎ ছাঁটাই। এমন পরিস্থিতিতে গণ-ইস্তফা দেয়ার পরিকল্পনা করছেন টুইটার কর্মীদের একাংশ। তবে তাতে এতটুকুও চিন্তিত নন ইলন মাস্ক।
তিনি জানান, 'আল্টিমেটামে'-এর পর চাকরি ছাড়া কর্মীদের নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। তার কথায়, যারা সত্যিই পরিশ্রমী, তারাই শুধুমাত্র কোম্পানিতে থেকে যাবেন। সোমবার পর্যন্ত সাময়িকভাবে টুইটারের অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে।
এই বিষয়ে এক টুইটার ব্যবহারকারী ইলন মাস্ককে ট্যাগ করে প্রশ্ন করেন। তিনি জানতে চান, ‘অনেকেই বলছেন টুইটার বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু টুইটার তো নিজে থেকেই চলে, তাই না? আমার মনে হয়, ইঞ্জিনিয়াররা অদল-বদল করার জন্যই থাকেন, শুধু টুইটার চালু রাখার জন্য নয়। যদিও আমার এই বিষয়ে জ্ঞান কম।’
এর উত্তর দেন ইলন মাস্ক। সেখানেই তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো কর্মীরা থাকছেন। আমি খুব বেশি চিন্তিত নই।’
সমালোচনা যতই হোক। ইলন মাস্কের তাতে কিছুই যায় আসে না। ইলনের টুইটার নীতি নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু এই বিতর্কের জেরেই বাড়ছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা। ইলন মাস্ক লেখেন, 'সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত টুইটার সম্পর্কে লেখা হচ্ছে। আর তার ফলে টুইটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। তাই আমার এতে কোনো আপত্তি নেই!'
এক টুইটার ব্যবহারকারী, সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাটি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশের রিপোর্টিংয়ের ধরনের উল্লেখ করেন। ওই ব্যক্তি বলেন, 'সংবাদমাধ্যম ইলন মাস্ককে খারাপভাবে দেখানোর চেষ্টা করছে। এখানে দু'টি শিরোনামের উদাহরণ দিলাম। এই দুই শিরোনামই পরস্পরের বিরোধী। এর থেকে একটিই বিষয় প্রমাণ হয়। ইলন সম্পর্কে কিছু খারাপ পেলেই তা লিখে দেয়া হচ্ছে। এটি পক্ষপাতের চরম নিদর্শন।' তার প্রেক্ষিতেই রিপ্লাইতে এই কথা বলেন ইলন মাস্ক।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি টুইটারের কর্মচারীরা গণ-ইস্তফার ইঙ্গিত দিয়েছেন। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, শয়ে-শয়ে টুইটার কর্মচারী ইস্তফা দিতে মুখিয়ে আছেন। আর সেই কারণে সংস্থার বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্তার সাথে আলোচনা করছেন ইলন। গুরুত্বপূর্ণ কর্মীদের সাথে নিজেই কথা বলছেন ইলন। তাদের চাকরিতে থাকার অনুরোধ করছেন বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি।
ইলন মাস্ক সম্প্রতি টেসলা, স্পেসএক্স এবং টুইটার কর্মীদের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ ই-মেলও পাঠান। তাতে কাজের মান আরো উন্নত করার জন্য কিছু পরামর্শ দেন তিনি। তার দাওয়াই,
১. অহেতুক মিটিং করা যাবে না। বড় সংস্থাগুলো ঘনঘন অপ্রয়োজনীয় মিটিং ডেকে কাজের সময় নষ্ট করে।
২. খুব বেশি প্রয়োজন মনে হলে, তবেই মিটিং ডাকতে হবে। সেটি যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত ও দ্রুত সারতে হবে।
৩. কোনো কর্মী যদি মিটিংয়ে এসে মনে করেন যে, এখানে তার না থাকলেও চলবে, সেক্ষেত্রে তিনি মিটিং রুম বা ভিডিয়ো কনফারেন্স থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন।
৪. মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়াটা কখনই অপমানজনক নয়। বরং জোর করে কাউকে মিটিংয়ে বসিয়ে রাখাটাই অপমানজনক।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস