২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

রেসিলিয়েন্ট ওয়াটার অ্যাকসেলেরেটর উদ্যোগ চালু করলেন প্রিন্স অব ওয়েলস

প্রিন্স অব ওয়েলস - ছবি সংগৃহীত

পাঁচ কোটি মানুষকে জলবায়ু ও স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে সুরক্ষায় রেসিলিয়েন্ট ওয়াটার অ্যাকসেলেরেটর উদ্যোগ চালু করলেন হিজ রয়্যাল হাইনেস প্রিন্স অব ওয়েলস হিজ রয়্যাল হাইনেস প্রিন্স অব ওয়েলস। তিনি তার টেকসই বাজার উদ্যোগের অংশ হিসেবে রেসিলিয়েন্ট ওয়াটার অ্যাকসেলেরেটর কার্যক্রম চালু করেছেন। এ কার্যক্রমের লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পানির সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে এমন অঞ্চলের পাঁচ কোটি মানুষের জন্য নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই পানির উৎস নিশ্চিত করা। সুপেয় ও নির্ভরযোগ্য পানির উৎসে মানুষের সুযোগ থাকলে তা বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারির মতো ভয়াবহ সমস্যা মোকাবিলায় এবং জলবায়ু সঙ্কটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সবাইকে সুরক্ষিত রাখবে।

প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ ও সুরক্ষায় অর্থায়ন বৃদ্ধিতে টেকসই বাজার উদ্যোগ এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়াাটারএইডের নেতৃত্বে পরিচালিত রেসিলিয়েন্ট ওয়াটার অ্যাকসেলেরেটরের মাধ্যমে ওয়াটারএইড বিভিন্ন দেশের সরকার (যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ, বুরকিনা-ফাসো, নাইজেরিয়া, নেদারল্যান্ডস, সিটি অব মাপুতো), বেসরকারি খাতের শীর্ষন্থানীয় প্রতিষ্ঠান (ডেলয়েট, অরূপ, সিডিসি গ্রুপ), উন্নয়ন ব্যাংক (বিশ্ব ব্যাংক), উন্নয়ন সংস্থা (জাতিসঙ্ঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, ইউনিসেফ, ওয়াটার.ওআরজি) এবং বিশেষজ্ঞদের (ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট, আন্তর্জাতিক পানি ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট, স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল) একত্রিত করেছে।

এই উদ্যোগ গ্রহণের পর লন্ডনে ওয়াটারএইডের পানি ও জলবায়ু সম্মেলনে টেকসই বাজার উদ্যোগের এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জলবায়ু স্থিতিস্থাপক পানি সংক্রান্ত কর্মসূচির জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধির ব্যাপারে সকলে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। গত এক বছর ধরে টেকসই বাজার উদ্যোগের ওয়াটার অ্যান্ড ক্লাইমেট টাস্কফোর্স এই প্রতিশ্রুতিকে বান্তবে রূপ দিতে কাজ করে যাচ্ছে।

এইচআরএইচ প্রিন্স অব ওয়েলস সম্প্রতি এক আলোচনার আয়োজন করেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন আফ্রিকান উন্নয়ন ব্যাংকের সভাপতি ড.আকিয়ুমি অ্যাডেসিনা, ব্যাংক অব আমেরিকার চেয়ারম্যান ও সিইও ব্রায়ান ময়নিহান, ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর, অরূপের গ্লোবাল ওয়াটার স্কিলস লিডার জাস্টিন অ্যাবট, সিডিসি গ্রুপ ও বেটসি অটোর চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটের ওয়াটার প্রোগ্রামের পরিচালক স্যও গ্রাহাম রিগলি।

কোভিড -১৯ মহামারি ও জলবায়ু পরিবর্তন উভয় সঙ্কট মোকাবিলায় পানি যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সে বিষয়ে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ আলোচনা করেন। তারা বলেন যে, সারাবিশ্বের মানুষ হাত ধোয়ার জন্য সাবান এবং পরিষ্কার পানি পাচ্ছে, যা ভাইরাসের বিন্তার রোধে সহায়তা করে। তাদের মতে, এই পানি পরিষেবাকে আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষা করতে হবে। উপস্থিত সকলে একমত পোষণ করেন যে পানি কর্মসূচির জন্য আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহন প্রয়োজন।

রেসিলিয়েন্ট ওয়াটার অ্যাকসেলারেটর আফ্রিকা এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ৬টি স্থান চিহ্নিত করবে, যেখানে পানির জন্য হুমকি এমন বিষয়গুলো (যেমন- পানির উৎস দূষণ থেকে, ক্রমাগত পানি সংকট বৃদ্ধি, ভূগর্ভস্থ পানি কমে যাওয়া ইত্যাদি) মোকাবিলা করতে নতুন পদ্ধতি পরীক্ষা করা যেতে পারে। ‘রেজিলিয়েন্সের জন্য বান্তবে পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব’ এ বিষয়টি সকলের সামনে তুলে ধরতে তারা একসাথে কাজ করবে এবং নিশ্চিত করবে যেন পানি সরবরাহ কর্মসূচি বিশ্বের সকল সরকারের অগ্রধিকারে পরিণত হয়। তাদের লক্ষ্য চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্থান চূড়ান্তকরণ এবং ২০২২ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু করা।

এইচআরএইচ দ্য প্রিন্স অব ওয়েলস বলেন, ‘কোভিড -১৯ মহামারি বিশ্বজুড়ে পরিষ্কার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তাকে আরও জোরদার করেছে। গত বছরের মার্চ মাসে প্রথম বৈঠকের পর থেকে ওয়াটার অ্যান্ড ক্লাইমেট ফাইন্যান্স ইনিশিয়েটিভ টাস্কফোর্স রেসিলিয়েন্ট পানি প্রকল্পে অর্থায়ন বৃদ্ধি করে এবং তারা এই লক্ষ্য অর্জনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছে। আমি সত্যিই আনন্দিত যে, জলবায়ু সঙ্কটের ক্ষতিকর প্রভাবগুলোর সাথে লড়াই করছে এমন দেশগুলোতে নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই পানির উৎস সরবরাহ করতে রেসিলিয়েন্ট ওয়াটার অ্যাকসেলেরেটর চালু হয়েছে। এক্ষেত্রে, ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট সকল খাতকে একসাথে আরও বেশি কাজ করতে দেখব বলে আশা করছি এবং আমি আশাবাদী যে, টাস্কফোর্স বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে অংশীদারিত্ব এবং প্রন্তাব জোরদারকরণে কাজ করে যাবে।’

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে যে বিপর্যয় ঘটছে তাতে বৈশ্বিক অভিযোজন ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে আরও প্রচেষ্টা প্রয়োজন। যদিও আমরা ভবিষ্যতে কার্বনের স্বল্প ব্যবহার নিয়ে আশাবাদী হচ্ছি, কিন্তু তারপরেও বাংলাদেশ এবং বিশ্বজুড়ে এমন অসংখ্য মানুষ থাকবে যাদের সুপেয় পানি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা হুমকির মুখে রয়েছে এবং যাদের জন্য সামান্য বিনিয়োগও বড় পরিবর্তন আনবে।’
‘আমাদের একটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হিসেবে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে যাতে অর্থ এবং বিনিয়োগ নিশ্চিতভাবে এবং দ্রুততার সাথে এই দুর্দশাগ্র¯থ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছায়। রেসিলিয়েন্ট ওয়াটার এক্সিলারেটরের মতো উদ্যোগ আমাদের এক্ষেত্রে সহায়তা করবে।’

ওয়াটারএইডের প্রধান নির্বাহী টিম ওয়েইনরাইট বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মানে আরও বেশি বন্যা, আরও বেশি খরা এবং আরও ভয়ানক ঝড়। এতে সেসব জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি আরও বেড়ে যায় যারা আজকে জানে না কালকে তারা তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত পরিষ্কার পানি পাবে কিনা। এই উদ্যোগটির লক্ষ্য বিশ্বের পাঁচ কোটি প্রন্তিক মানুষের কাছে নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই পানি পরিষেবা পৌঁছে দেয়া।’

টেকসই বাজার উদ্যোগের লক্ষ্য প্রকৃতি, মানুষ এবং ধরিত্রীকে কেন্দ্রে রেখে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে আমাদের মূল্যবোধ সৃষ্টির জন্য টেকসই ভবিষ্যতের দিকে বিশ্বের যাত্রায় নেতৃত্ব দেয়া এবং এই রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করা। বিশ্বব্যাপী টেকসই ভবিষ্যত নির্মাণের লক্ষ্যে, এইচআরএইচ প্রিন্স অব ওয়েলস তাঁর টেকসই বাজার উদ্যোগের মাধ্যমে সমবেত করেন শিল্প, বিনিয়োগকারী, দেশ, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজের মধ্যকার ‘কোয়ালিশনস অব দ্য উইলিংস’-দের। তিনি দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ২০২০ এর বার্ষিক সভায় টেকসই বাজার উদ্যোগের সূচনা করেছিলেন।

সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement
অ্যাডভোকেট সাইফুল হত্যা : সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের প্রতিবাদ সমাবেশ নৌ-পরিবহন উপদেষ্টার সাথে মালদ্বীপের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ হিজবুল্লাহ-ইসরাইল অস্ত্রবিরতি চুক্তিকে স্বাগত বিশ্ব নেতাদের আয়ারল্যান্ডকে ১৫৪ রানে হারিয়ে রেকর্ড গড়ল টাইগ্রেসরা ববিতে চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি মার্কিন দূতাবাস থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তির বিষয়ে সব পক্ষের মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্ত অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের হাসিনার পালানোর দৃশ্য মনে করতে বললেন ফারুকী ঢাকা ইপিজেড ও সংলগ্ন এলাকায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সাম্প্রতিক ঘটনায় উদ্বিগ্ন মির্জা ফখরুল আশুলিয়ায় টানা ৩২ ঘণ্টায়ও মহাসড়ক ছাড়েনি শ্রমিকরা

সকল