জনসনের টিকার অনুমোদন দিলো ডব্লিউএইচও
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৩ মার্চ ২০২১, ১১:৩৬
জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শুক্রবার এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
জনসন অ্যান্ড জনসনের দাবি, এক ডোজেই মারাত্মক করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম এই ভ্যাকসিনটি তিন মাস পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা যায়। ফলে যেসব দেশ বা অঞ্চলে ফ্রিজার বা আল্ট্রা কোল্ড স্টোরেজ নেই সেসব এলাকায়ও এই ভ্যাকসিনটি সংরক্ষণ করা সম্ভব।
এ বিষয়ে ডব্লিউএইচও ডিরেক্টর জেনারেল ড. টেড্রোস আধানোম ঘেব্রেয়েসুস বলেন, ‘যেহেতু নতুন একটি ভ্যাকসিন এসেছে, সেহেতু এটিকে অবশ্যই বৈশ্বিক সমাধানের অংশ আমাদের ব্যবহার করতে হবে। কোনো দেশ বা মানুষকে বাদ দেয়া চলবে না। আমরা আশা করি নতুন এই ভ্যাকসিনটি অসমতা দূরীকরণে সহায়তা করবে।’
এর আগে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার জনসন এন্ড জনসন করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ২৭ সদস্যের ব্লকে চতুর্থ ভ্যাকসিন হিসেবে জে এন্ড জে এই অনুমোদন পেল।
জে এন্ড জে বলেছে, এপ্রিলের দ্বিতীয়ার্ধে ইইউ ব্লকে ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু করবে এবং ২০২১ সালে ইইউ, নরওয়ে এবং আইসল্যান্ডে ২০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে।
আমস্টারডাম ভিত্তিক ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি’র (ইএমএ) অনুমোদনের সুপারিশের পরে ইউরোপিয়ান কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিল।
ইইউ কমিশন প্রধান উরসুলা ভন ডের লেইন এক টুইটে বলেছেন, ‘আরো নিরাপদ এবং কার্যকর ভ্যাকসিন বাজারে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে জে এন্ড জে ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি এবং ভ্যাকসিন ডোজের সরবরাহের আদেশ দিয়েছি। এই বছরে জে এন্ড জে’র ২০ কোটি ডোজ সরবরাহ পেতে পারি।’
ইইউ প্রতিষ্ঠানটির সাথে ২০ কোটি ডোজ সরবরাহ চুক্তিতে সাক্ষর করেছে এবং আরো ২০ কোটি ডোজ সরবরাহের প্রস্তাব রয়েছে।
জে এন্ড জে ভ্যাকসিন নির্বাচনে প্রথম অগ্রাধিকার পেয়েছে এই ভ্যাকসিন। দুই ডোজের বিপরীতে এক ডোজ দিতে হবে এবং এটির সংরক্ষণ সহজতর।
ইইউ জে এন্ড জে ছাড়াও আরো তিনটি ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে, এ গুলো হলো ফাইজার-বায়ো-এনটেক, মর্ডেনা এবং আস্ট্রাজেনিকা-অক্সফোর্ড। এ ছাড়াও ইএমএ নোভাভ্যাক্স, কুরিভ্যাক এবং রাশিয়ার স্পুটনিক ভ্যাকসিন রিভিউ করছে।
ইএমএ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকায় স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর ক্লিনিক্যাল টেস্টে কোভিড-১৯ রোধে জে এন্ড জে’র ৬৭ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়ার পর এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।