২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ১৬.৬ লাখ ছাড়াল

করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ১৬.৬ লাখ ছাড়াল - ছবি - সংগৃহীত

মহামরী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ বিশ্বজুড়ে চলছে। নতুন রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর পরিমাণ।

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৬ লাখ ৬০ হাজার ১৩২ জনে।

এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার ৩০০ জনে।

জেএইচইউ’র তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস থেকে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ২২ লাখ ৮৩ হাজার ২৭৭ ব্যক্তি।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৭১ লাখ ৯২ হাজার ৩৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৩ লাখ ১০ হাজার ৪২৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত প্রায় ৯৯ লাখ ৫৭ হাজার মানুষ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৫১ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৭১ লাখ ১০ হাজারের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৭ জনের।

রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে তালিকার পরবর্তী কয়েকটি দেশ হলো- রাশিয়া (প্রায় ২৭ লাখ ৩৭ হাজার), ফ্রান্স (২৪ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি), তুরস্ক (১৯ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি) ও যুক্তরাজ্য (১৯ লাখ ৫৪ হাজারের বেশি)।

মৃতের দিক দিয়ে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে আছে মেক্সিকো (১ লাখ ১৫ হাজার ৭৬৯ জন)। তারপরে ইতালিতে ৬৭ হাজার ২২০ জন, যুক্তরাজ্যে ৬৬ হাজার ১৫০ জন, ফ্রান্সে ৫৯ হাজার ৭৩৩ জন ও ইরানে ৫৩ হাজার ৯৫ জন মারা গেছেন।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি

দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে আরও ৩৬ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ১৯২ জনে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া, নতুন করে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৩৪ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৯৭৫ জনে।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ২৩৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫৯০ জনে।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর দেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন লাখ অতিক্রম করে গত ২৬ আগস্ট এবং মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে যায় ৪ নভেম্বর।


...
মানব উন্নয়ন সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ

জাতিসঙ্ঘের মানব উন্নয়ন সূচকে আগের বছরের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত জাতিসঙ্ঘ উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউএনডিপির ২০২০ সালের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে এই তথ্য দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৮৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৩তম। গতবার বাংলাদেশ ১৩৫তম স্থানে ছিল। ভারত ও পাকিস্তান এবার দুই ধাপ করে পিছিয়েছে। ভারত ও পাকিস্তান রয়েছে যথাক্রমে ১৩১ ও ১৫৪তম স্থানে।

মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনসংখ্যার তুলনায় চিকিৎসকের অনুপাতে বাংলাদেশের চেয়ে ভারত এগিয়ে আছে। ভারতে প্রতি ১০ হাজার নাগরিকের জন্য গড়ে ৮ দশমিক ৬ সংখ্যায় চিকিৎসক আছেন। বাংলাদেশে এই সংখ্যা ৫ দশমিক ৮। তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তানে এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৮।

সার্বিকভাবে এবারের মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশের মানব উন্নয়ন পরিস্থিতি মধ্যম সারির।

দুর্বল অবকাঠামো ও সেবার কারণে নাগরিকেরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়। ইউএনডিপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাশিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে ১৩ শতাংশের বেশি হারিয়ে ফেলছে।

অগ্রগতি সত্ত্বেও সার্বিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। গতবারের মতো আট দেশের মধ্যে বাংলাদেশ পঞ্চম। দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে আছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৭২তম। এ ছাড়া মালদ্বীপ ৯৫তম, ভুটান ১২৯তম, নেপাল ১৪২তম ও আফগানিস্তান ১৬৯তম স্থানে।

সারা বিশ্বে মানব উন্নয়ন পরিস্থিতি সবচেয়ে ভালো নরওয়েতে। গতবারের মতো এবারও দেশটি শীর্ষ স্থান দখল করেছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে আয়ারল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড।

২০১৯ সালের মানব উন্নয়ন পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আয় ও সম্পদের উৎস বৈষম্য, লিঙ্গ সমতা, দারিদ্র্য, কর্মসংস্থান, নিরাপত্তা বাণিজ্য ও আর্থিক প্রবাহ যোগাযোগ, পরিবেশের ভারসাম্য ও জনমিতির তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সূচক তৈরি করে ইউএনডিপি।

১৯৯০ সাল থেকে সারাবিশ্বে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে ইউএনডিপি। যে দেশ মানব উন্নয়ন সূচকে যত এগিয়ে সে দেশ তত উন্নত বলে ধরা হয়।
....
ঢাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি-জামাতপন্থী সাদা দল
শিক্ষক সমিতি নির্বাচন ২০২১
তারিখ না পেছালে নির্বাচনে অংশ নেবে না ঢাবি সাদা দল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি কার্যকরী পরিষদ ২০২১ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে ঢাবির শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

বৃহস্পতিবার রাতে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম। তবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের প্যানেল চূড়ান্ত ও দাখিল করেছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।

তিনি বলেন, কভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতে প্রতিদিন মৃত্যু ও সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারেও এর প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের সম্মানিত সহকর্মীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আসলে যে লোক সমাগম হবে, তাতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। বিশেষ করে বয়োজেষ্ঠ্য এবং নানাবিদ অসুস্থতায় আক্রান্ত সহকর্মীদের জন্য এটি মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। ঝুঁকি এড়ানোর জন্য সংগত কারণেই অনেক শিক্ষক হয়তো ভোট প্রদান করতে আসবেন না। এটি হলে প্রতিনিধি নির্বাচনের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হবে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয় বিধায় ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সমিতির নির্বাচন হওয়া উচিৎ নয়।

সাদা দলের আহ্বায়ক বলেন, ২০২১ সালে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সাদা দল অংশ নিতে চায়। তাই আমরা সাদা দল আবারো নির্বাচন কমিশন ও শিক্ষক সমিতির বর্তমান কার্যকর পরিষদের কাছে অনুরোধ করছি ঘোষিত তফসিল বাতিল করে কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে নতুন তফসিলের মাধ্যমে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আয়োজন করা হোক। আমাদের অনুরোধ সত্ত্বেও সাদা দলকে বাইরে রেখে নির্বাচন করা হলে এ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল