যে কারণে দেশে জনপ্রিয় হলো বিদেশী তেলাপিয়া
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ নভেম্বর ২০২০, ১১:৫২
সহজলভ্য ও সস্তায় কম আয়ের মানুষের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে পারে বলে তেলাপিয়া বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় একটি মাছ।
মাছ চাষীরাও তেলাপিয়া চাষ করতে বেশ পছন্দ করেন, ঝামেলাবিহীন স্বল্প পরিসরে চাষ করা যায় বলে।
পুকুর ছাড়াও ভাসমান জালের খাঁচাসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে তেলাপিয়া মাছ চাষ করা যায়।
স্বাদু পানি ছাড়াও লবণাক্ত পানিতে এবং অন্যান্য মাছের সাথে মিশ্র পদ্ধতিতে এই মাছ চাষ সম্ভব। কম সময়ে বেশি ফলন এবং মুনাফা হওয়ার কারণে চাষিদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে তেলাপিয়ার।
অথচ তেলাপিয়া বাংলাদেশের মাছই নয়। ৬৫-৭০ বছর আগে এই ভূখণ্ডের মানুষ চিনতোও না তেলাপিয়া।
কবে কীভাবে এলো?
মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট বলছে, আফ্রিকা থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলাদেশে তেলাপিয়া প্রথম এসেছিল। এটিকে বলা হত মোজাম্বিক তেলাপিয়া।
দেখতে একটু কালো রঙের। পোনার পরিমাণ অনেক। কিন্তু বৃদ্ধি ছিল কম।
১৯৭৪ সালে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে আসে নাইলোটিকা নামে তেলাপিয়ার একটি জাত। এটি মোজাম্বিক তেলাপিয়ার তুলনায় ভাল এবং বৃদ্ধিও ভাল হয়।
১৯৯৪ সালে ফিলিপাইন থেকে বাংলাদেশে আসে গিফট তেলাপিয়া। নাইলোটিকার তুলনায় এই তেলাপিয়ার বৃদ্ধির হার ৬০ শতাংশ বেশি। এই তেলাপিয়াই পরে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
সময়ের হিসাবে বলা যায় যে, '৯০ এর দশক থেকেই বাংলাদেশে তেলাপিয়া মাছের জনপ্রিয়তা তৈরি হয়।
মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই গিফট তেলাপিয়া আসার পরই বাংলাদেশে তেলাপিয়ার মোমেন্টাম হয়।’
বর্তমানে বাংলাদেশে যে তেলাপিয়ার চাষ হচ্ছে সেটি হচ্ছে গিফট তেলাপিয়া মনোসেক্স।
জেনেটিক সিলেকশন পদ্ধতির মাধ্যমে গিফট তেলাপিয়ার জাত উন্নত করা হয়েছে। এটি এখন সুপার তেলাপিয়া নামে পরিচিত।
গিফট তেলাপিয়ার এই জেনেটিক জাতটি স্থানীয় জাত বা অন্য তেলাপিয়ার তুলনায় ৫০-৬০ ভাগ বেশি উৎপাদনশীল।
মনোসেক্স তেলাপিয়া কী? কিভাবে করা হয়?
মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের তথ্য মতে, বাংলাদেশে ছয় শ’ থেকে সাত শ’টি হ্যাচারি রয়েছে যেগুলোতে তেলাপিয়া মাছের মনোসেক্স পোনা উৎপাদন করা হয়।
এসব হ্যাচারি থেকে বছরে ছয় শ’ থেকে সাত শ’টি কোটি পোনা উৎপাদিত হয়।
মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এইচ এম কহিনুর বলেন, হরমোন প্রয়োগ করে তেলাপিয়া মাছের সব পোনাকে মনোসেক্স করা হয়।
অর্থাৎ সব পোনাকে পুরুষ পোনায় রূপান্তরিত করা হয়।
তিনি বলেন, পোনার বয়স যখন শূন্য বা একদিন থাকে তখন থেকে পরের ২১-২৩ দিন পর্যন্ত হরমোন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো হয়।
এই সময় পার হয়ে যাওয়ার পর, সব নারী পোনা পুরুষ পোনায় পরিণত হয়। অর্থাৎ তারা ডিম দেয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তখন এই মাছকে মনোসেক্স জাত হিসেবে উৎপাদন করা হয় বলে জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওয়াহিদা হক বলেন, বাংলাদেশে যেসব মাছ উৎপাদিত হয় তার মধ্যে যে বৈশিষ্ট্য থাকে সেটি হচ্ছে সব সময় ফিমেল বা স্ত্রী প্রজাতির মাছটি আকারে বড় হয়। কারণ এগুলো ডিম দেয়।
কিন্তু তেলাপিয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি সম্পূর্ণ উল্টো। তেলাপিয়ার ক্ষেত্রে ফিমেল বা স্ত্রী মাছটি আকারে ছোট এবং পুরুষ মাছটি আকারে বড় হয়। ডিম না হওয়ার কারণে পুরুষ মাছের শরীরে মাসল বা পেশী বেশি থাকে। যার কারণে বেশি মাছ বা প্রোটিন পাওয়া যায়।
এ কারণেই যখন পোনাগুলোর লিঙ্গ শনাক্ত করা যায় না, সে সময়েই হরমোনযুক্ত খাবার দিয়ে সব পোনাকে পুরুষে পরিণত করা হয়। এটাকেই মনোসেক্স বা সিঙ্গেল সেক্স তেলাপিয়া বলা হয়।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ প্রাণীদের মধ্যে পুরুষ হওয়ার জন্য টেসটোস্টেরন এবং স্ত্রী হওয়ার জন্য এস্ট্রোজেন হরমোন দায়ী থাকে।
তেলাপিয়ার মনোসেক্স করার ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোন ব্যবহার করা হয়। খাবারের সাথে এই হরমোন মিশিয়ে খাওয়ানোর কারণে যেসব পোনার ফিমেল বা স্ত্রী হওয়ার প্রবণতা থাকে সেগুলোও আসলে পুরুষ হয়ে যায়।
স্ত্রী মাছের তুলনায় পুরুষ মাছের বৃদ্ধি ২৫-৩০% বেশি হওয়ার কারণেও মাছগুলোকে মনোসেক্স করা হয়।
যে কারণে জনপ্রিয়
বাংলাদেশে বর্তমানে মাছের চাহিদা আছে প্রায় ৪২ লাখ মেট্রিক টন।
মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের তথ্য মতে, এর মধ্যে তেলাপিয়া উৎপাদিত হয় বছরে প্রায় ১৩ লাখ মেট্রিক টন।
এক বছরে প্রতি হেক্টরে ২৫ থেকে ৩০ টন তেলাপিয়া উৎপাদিত হয়।
মৎস্য কর্মকর্তা ড. এ এইচ এম কহিনুর বলেন, তেলাপিয়া যেকোনো ধরণের জলাশয় ও পুকুরে চাষ করা যায়। পুকুরের গভীরতা যেকোনো ধরণের হতে পারে। এই মাছ যেকোনো ধরণের খাবার খেতে পছন্দ করে। রোগ-ব্যাধি কম হয়। এসব কারণেই মূলত বাংলাদেশে তেলাপিয়া মাছের জনপ্রিয়তা তৈরি হয়।
মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ওয়াহিদা হক বলেন, পানি থেকে অক্সিজেন কম গ্রহণ করে। পানির মান খুব ভাল না হলেও তেলাপিয়া মাছ বাঁচতে পারে।
‘পুরোপুরি লবণাক্ত পানিতে থাকতে না পারলেও পানিতে লবণের মোটামুটি একটা নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত সহ্য করতে পারে এই মাছ।’
তিনি বলেন, আশির দশকের দিকে তেলাপিয়া চাষের জনপ্রিয়তা শুরু হয়। এক সময় চিংড়ি খুব জনপ্রিয় থাকলেও খুব বেশি যত্ন করতে হয় বলে সেটির জনপ্রিয়তা কমে যায়।
কিন্তু তেলাপিয়ার যেহেতু খুব বেশি একটা যত্ন নিতে হয় না, খুব সহজে চাষ করা যায় এবং প্রায় সব ধরণের খাবার এই মাছ খায়- এসব কারণেই এর জনপ্রিয়তা বেশি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যা বেশি থাকায় একটি বিষয় মাথায় রাখা হয় যে, স্বল্প খরচে কিভাবে বেশি পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়।
‘যেহেতু তেলাপিয়া চাষের খরচ অনেক কম কিন্তু অন্য মাছের তুলনায় প্রোটিনের ভাল উৎস তাই এটি বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।’
এছাড়া তেলাপিয়া খুব দ্রুত বর্ধনশীল মাছ, খেতেও সুস্বাদু এবং মাংসল অংশে কাটা না থাকার কারণে মানুষের মধ্যে এই মাছের চাহিদাও রয়েছে।
বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ডে তেলাপিয়া মাছ জনপ্রিয় বলে জানান ওয়াহিদা হক।
লাভজনক মাছ
চাষের ক্ষেত্রে তেলাপিয়া খুবই লাভজনক বলে জানা যায়। তবে সম্প্রতি বাজারে এই মাছের দাম কমে যাওয়ার কারণে লাভের পরিমাণ কিছুটা কমে গেছে বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তারা।
তবে এখনো এটি অন্যান্য মাছের তুলনায় খরচ ও বিক্রির ভিত্তিতে লাভজনক বলে জানান তারা।
প্রতি একর জলাশয় বা পুকুর থেকে চার থেকে পাঁচ মাসে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা মুনাফা অর্জন করা যায়। আর এই পরিমাণ জলাশয়ে তেলাপিয়া চাষে খরচ হয় দেড় লাখ টাকার মতো।
এ বিষয়ে ড. এ এইচ এম কহিনুর বলেন, ‘দেড় লাখ টাকা বিনিয়োগ করে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লাভ করা যায়।’
চাষ পদ্ধতি
মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তারা বলছেন, তেলাপিয়া মাছ চাষ শুরু করতে চাইলে মধ্যম গভীরতার একটি পুকুর বা জলাশয় থাকতে হবে। পানির গভীরতা তিন থেকে চার ফুট হলেই সেখানে তেলাপিয়া মাছ চাষ করা সম্ভব।
পুকুরটি অবশ্যই ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে। পুকুরের তলায় কোন ময়লা আবর্জনা থাকলে সেটি পরিষ্কার করতে হবে। পাড় মেরামত করতে হবে। পুকুর পাড়ে কোন আগাছা বা গাছপালা থাকলে পরিষ্কার কিংবা ছেঁটে দিতে হবে।
পুকুরে প্রতি শতাংশে এক কেজি পরিমাণ চুন ছিটিয়ে দিতে হবে। এর তিন দিন পরে ১০০ গ্রাম টিএসপি সারের সাথে ৫০ গ্রাম ইউরিয়া মিশিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে।
সার দেয়ার পর পানির রঙ যখন সবুজ হবে তখন সেখানে তেলাপিয়া মনোসেক্স জাতের পোনা ছাড়তে হবে।
মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এইচ এম কহিনুর বলেন, প্রতি শতকে ২০০-২৫০টি পোনা মজুদ করা যায়।
‘লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে পোনার ওজন ৫-৬ গ্রাম পরিমাণ হয়।’
এসব পোনাকে সপ্তাহে ৫-৬ দিন খাবার দিতে হবে।
২৫-২৮% প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত দিলে বৃদ্ধি ভাল হয় এবং চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে প্রতিটি তেলাপিয়ার ওজন ২৫০-৩০০ গ্রাম ওজনের হয়।
মাছের ওজন ৩০০ গ্রামের মতো হলেই সেটি আহরণ করতে হবে।
তেলাপিয়া মাছ আহরণের ক্ষেত্রে পুরো পুকুর শুকিয়ে ফেলতে হবে। জাল দিয়ে মাছ ধরলে ৬০% মাছ ধরা সম্ভব বলে মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের তথ্যে জানা যায়। বাকি ৪০% মাছ পুকুরের তলায় থেকে যায়। যার কারণে সব মাছ ধরতে হলে পুকুর শুকিয়ে ফেলতে হবে।
এ কারণে যেসব পুকুর সহজেই শুকিয়ে ফেলা যায় সেরকম পুকুরে তেলাপিয়া চাষ করা উচিৎ বলে মনে করেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
এক বার মাছ ধরার কিছুদিন পর একই পুকুরে আবার মাছ চাষ করা যায়। তবে এক্ষেত্রে যদি পুকুরের তলদেশে অর্গানিক ডিপোজিট অর্থাৎ বর্জ্য বেশি থাকে তাহলে সেগুলো পরিষ্কার করে নিতে হবে।
কোন পদ্ধতি লাভজনক?
তেলাপিয়া মাছ চাষের বিভিন্ন পদ্ধতি, পোনা উৎপাদন এবং প্রযুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে আসছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট।
বিভিন্ন ধরণের মাছ চাষ পদ্ধতি নিয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে থাকে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি।
এই প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এইচ এম কহিনুর বলেন, বর্তমানে দেশে তেলাপিয়া মাছের খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এবং মাছের দাম কমে যাওয়ার কারণে নতুন একটি চাষ পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আর পদ্ধতিটি হচ্ছে, তেলাপিয়ার সাথে শিং এবং মাগুর মাছের চাষ।
‘এই পদ্ধতি খুবই লাভজনক,’ তিনি বলেন।
তিনি জানান, এই পদ্ধতিতে তিন ধরণের মাছ এক সাথে চাষ করা হলেও শিং এবং মাগুর মাছের জন্য আলাদা খাবার খুব কম দরকার হয়। প্রায় একই পরিমাণ বা কিছুটা বেশি খাবার দিয়ে একই পুকুর থেকে আলাদা ধরণের বেশি পরিমাণ মাছ সংগ্রহ করা সম্ভব।
বাজারে শিং এবং মাগুর মাছের চাহিদাও বেশি বলে জানান তিনি।
এক্ষেত্রে এক হেক্টর জমি পরিমাণ পুকুর থেকে এক ফসলে ১৪-১৫ টন মাছ আহরণ করা সম্ভব বলে জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।
মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি নয়
মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন যে, হরমোন প্রয়োগ করে তেলাপিয়া মাছকে মনোসেক্সে রূপান্তরিত করা হলেও মানবদেহের জন্য এটি আসলে কোন হুমকি তৈরি করে না।
এরইমধ্যে এ বিষয়ে তারা গবেষণা করে দেখা হয়েছে বলে জানানো হয়।
অনেকটা একই রকমের মত দিয়েছেন মৎস্য বিজ্ঞানীরাও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওয়াহিদা হক বলেন, এখনো পর্যন্ত মনোসেক্স তেলাপিয়া মানবস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হতে পারে এমন কোনো গবেষণা বা তথ্য জানা যায় না।
তিনি বলেন, মনোসেক্সে রূপান্তরের জন্য যে টেস্টোস্টেরন হরমোন ব্যবহার করা হয় তা মানবদেহে প্রভাব ফেলে এ ধরণের কোনো গবেষণা এখনো নেই।
তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন যে, ‘এটার হয়তো কোনো প্রভাব থাকলেও থাকতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে আরো বিস্তর গবেষণা দরকার।’
সেই সাথে ওয়াহিদা হক এটাও বলেছেন যে, ২১ দিন ধরে পোনাগুলোকে যে খাবারটা খাওয়ানো হয়, তখনই আসলে মাছগুলো খাওয়ার উপযোগী হয় না।
‘যখন খাওয়ার উপযোগী হয় এবং মাছ ধরে বাজারজাত করা হয় তখন আসলে আর আগের খাবারের কোনো প্রভাব মাছে থাকে না,’ বলেন তিনি।
তবে এ নিয়ে ভবিষ্যতে গবেষণার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা