১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

খাবার মেনুতে ইঁদুর ভাজি

মালাওয়ির রাস্তাঘাটের পাশে অনেকেই বিক্রি করছেন ইঁদুর ভাজি - ইন্টারনেট

আফ্রিকার দেশ মালাওয়িতে করোনার কারণে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও অর্থনৈতিক সঙ্কট৷ মাছ বা গোশত কেনার সামর্থ্য নেই দেশের বড় একটি অংশ জনগণের৷ এই সঙ্কটে বিকল্প প্রোটিনের উৎস হয়ে উঠেছে ইঁদুর৷

মালাওয়ির রাস্তাঘাটের পার্শ্ববর্তী গ্রামের অনেকেই হাতে করে বিক্রি করছেন ইঁদুর ভাজি। করোনার লকডাউনে খাবার দোকান বেশিরভাগই বন্ধ। খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় মাছ-গোশত অনেকেরই হাতের নাগালের বাইরে। ফলে এক শহর থেকে আরেক শহরে যাতায়াতের সময় অনেকের কাছে ইঁদুর ভাজি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় এক ইঁদুর শিকারী ও বিক্রেতা বার্নার্ড সিমেওন বলেন, করোনা শুরুর পর থেকে জীবন অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে জীবিকার জন্য আমাদের ইঁদুর শিকার ও বিক্রির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

মালাওয়ির অর্ধেকের বেশি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করেন। এমনিতেই খাদ্যভাব ও অপুষ্টিজনিত নানা জটিলতায় আক্রান্ত দেশটির জনগণ। করোনার বিধিনিষেধ এই দরিদ্র মানুষদের নিয়ে গেছে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ফলে নিজেদের খাদ্য ও উপার্জনের জন্য কৃষি জমিতে বাসা বাধা ইঁদুর ধরতে হাত লাগাচ্ছেন সবাই।

মালাওয়ির সরকারও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না এই সঙ্কটময় মুহূর্তে। করোনার কারণে যারা কাজ হারিয়েছেন তাদের মাসে ৫০ ডলার অর্থসাহায্যের ঘোষণা দিলেও জুন মাসের সেই ঘোষণা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

মালাওয়ির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান পুষ্টিবিদ সিলভেস্টার কাথুম্বা বলেন, আপনার এলাকায় যদি ইঁদুর পাওয়া যায় তাহলে ইঁদুরই খান। আপনার প্রয়োজনীয় প্রটিনের যোগান যে খাবারেই পাবেন সেটি খাবার ব্যাপারে বাধা নেই।

পরিবেশবাদীরা অবশ্য ইঁদুর শিকার নিয়ে নিজেদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। ইঁদুর সাধারণ ভুট্টা ক্ষেতে পাওয়া যায়। ফলে, বাস্তুসংস্থানের বড় একটা অংশ এই ইঁদুর।

ইঁদুর শিকার এভাবে বাড়তে থাকলে পুরো কৃষি ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা পরিবেশকর্মীদের।


আরো সংবাদ



premium cement