রেলের ভাড়া বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেয়া হয়নি : রেলমন্ত্রী
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩১ আগস্ট ২০২০, ১৭:৩১
রেলের ভাড়া বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেয়া হয়নি বলে সোমবার জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ‘রেলের ভাড়া বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেয়া হয়নি। অনেক আগের করা কমিটি তাদের বক্তব্য আমাদের সামনে তুলে ধরেছে। এটির ভুল ব্যাখ্যা মিডিয়ায় চলে এসেছে।’
বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৭৫টি মিটারগেজ ও ৫০ টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যানসহ মোট ১২৫ টি লাগেজ ভ্যান সংগ্রহের লক্ষ্যে এক চুক্তি রেলভবনে স্বাক্ষরিত হয়। রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক মো. মিজানুর রহমান এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান চীনের সিএনটিক-রেলটেকো-জিনসি, যৌথ কোম্পানির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ইয়াং বিং।
মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ রেলওয়েকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। যাত্রী সেবার মান উন্নয়নসহ রেলপথ নির্মাণ ও সংস্কারের পাশাপাশি মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রেও ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এরই অংশ হিসেবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এর সহযোগিতায় ১২৫ টি লাগেজ ভ্যান সংগ্রহের অনুমোদন করেছেন।
তিনি বলেন, সরকার রেলওয়ে সেক্টর উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি মালামাল ও বিশেষায়িত পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে সুদীর্ঘ ৪০ বছর পর এ সকল লাগেজভ্যান সংগ্রহ করা হচ্ছে।
‘করোনার মধ্যে রেলওয়ে রাজশাহী থেকে আম পরিবহন করেছে, এছাড়াও শাকসবজি ও নিত্য পণ্য পরিবহন করেছে। কোরবানির ঈদে পশু পরিবহন করেছে। ভবিষ্যতে কৃষকের পণ্য সরাসরি ভোক্তার নিকট পৌঁছানোর উদ্যোগ হিসেবে লাগেজ ভ্যান ক্রয় করা হচ্ছে। এতে করে কৃষক তার পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে,’ বলেন রেলমন্ত্রী।
উল্লেখিত লাগেজ ভ্যান সমূহ স্টেইনলেস স্টিলবডি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, উচ্চগতি সম্পন্ন বগি এবং অটোমেটিক এয়ার ব্রেক সিস্টেম সম্বলিত হওয়ায় সাধারন ও বিশেষায়িত পণ্য, যেমন বিভিন্ন রকমের খাদ্য দ্রব্য ও অন্যান্য পঁচনশীল দ্রব্য ইত্যাদি কম খরচে ও কম সময়ের মধ্যে নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
রেলওয়ের গুরুত্ব বিবেচনায় ১২৫ টি ল্যাগেজ ভ্যান সংগ্রহের জন্য ৪,২৭,৪১,৫৬৯ মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে, যা বাংলাদেশি ৩৫৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকার (সিডি-ভ্যাট ব্যতীত) সমপরিমাণ। চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে ২০ মাসের মধ্যে সরবরাহ শুরু হবে এবং ২৭ মাসের মধ্যে সরবরাহ শেষ হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামানসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা