২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

করোনায় নড়েচড়ে বসছেন বিশ্ব নেতারা

করোনায় নড়েচড়ে বসছেন বিশ্ব নেতারা - সংগৃহীত

করোনা মোকাবেলায় নড়েচড়ে বসছেন বিশ্ব নেতারা।বৃহস্পতিবার জি-টোয়েন্টি ও ইইউ নেতারা পৃথক আলোচনায় করোনা সংকট ও তার অর্থনৈতিক পরিণাম নিয়ে আলোচনা করছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব গোটা মানবজাতির ঐক্যের ডাক দিয়েছেন।

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় এতদিন সব দেশ মোটামুটি ‘একলা চলো রে' নীতি অনুসরণ করে গেছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ লকডাউনের মধ্যে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন এবং একুশ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। শুধু স্বাস্থ্য সংকটের কারণে নয়, সেই সংকটের জের ধরে বিশ্ব অর্থনীতির অভূতপূর্ব বিপর্যয়ের ফলেও মানবজাতির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রবৃদ্ধির বদলে মন্দার কারণে চরম বেকারত্ব দেখা দিতে পারে। এককালীন স্টিমুলাস প্যাকেজ বা অর্থনৈতিক প্রণোদনা দিয়ে সেই ক্ষতির মাত্রা কিছুটা সামলানো সম্ভব হলেও অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ধারাবাহিক উদ্যোগের প্রয়োজন হবে বলে তাঁরা মনে করছেন।

এমন প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক স্তরে সহযোগিতা ও সমন্বয় বাড়াতে এগিয়ে আসছেন বিশ্বনেতারা। বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের সভাপতিত্বে জি-টোয়েন্টি গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা অনলাইন আলোচনার মাধ্যমে বর্তমান সংকট নিয়ে আলোচনা করতে চলেছেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস গোটা বিশ্বের উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সংকট মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর মতে, প্রত্যেক দেশের একক প্রচেষ্টা এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। করোনাভাইরাস সংকটকে কেন্দ্র করে অ্যামেরিকা ও চীনের মধ্যে বর্তমান সংঘাতও কাম্য নয়। গুতেরেস বলেন, কোভিড-১৯ গোটা মানবজাতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই মানবজাতিকেই এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে৷'' তিনি দরিদ্র মানুষের সহায়তার জন্য ২০০ কোটি ডলার সংগ্রহের আবেদন করেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারাও করোনা সংকটের জের ধরে সংকটের মোকাবিলা করার উদ্যোগ নিচ্ছেন। সংকট শেষ হলে স্বাভাবিক পরিস্থিতি কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে তাঁরা বৃহস্পতিবার আলোচনা করবেন। সেই ভিডিও কনফারেন্সে বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলা নিয়েও আলোচনা হবে। আপাতত বেশিরভাগ দেশের সীমান্ত বন্ধ রাখায় যে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, সে বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আাসার কথা। ইউরোপীয় কমিশন ও ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকটের মোকাবিলা করতে এরই মধ্যে একগুচ্ছ পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে। ইটালির মতো করোনায় বিপর্যস্ত দেশ জরুরি অবস্থায় বাড়তি ঋণের উদ্যোগ নিচ্ছে। বেলজিয়াম, ফ্রান্স, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, লুক্সেমবুর্গ, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া ও স্পেনও সেই উদ্যোগে ইটালির সঙ্গে যোগ দিয়েছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement