সৌদি থেকে ফিরল ৮ রেমিটেন্স যোদ্ধার লাশ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৪০
সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছে দুই নারীসহ আট রেমিটেন্স যোদ্ধার বাক্সবন্দী লাশ। বুধবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৃথক বিমানে ২০ নারীসহ আরো ১৮৩ প্রবাসীকর্মী দেশে ফিরেছেন।
ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, বুধবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি-৮০৪ ফ্লাইটে করে ৮৯ এবং রাত ১টা ১০ মিনিটে এসভি-৮০৮ ফ্লাইটে ৯৪ বাংলাদেশি ফিরে আসেন।
তিনি বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ১৭৫ নারীসহ তিন হাজার ৬৩৫ বাংলাদেশি। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৪০৯ প্রবাসী শ্রমিকের নিথর দেহ দেশে ফিরেছে। প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে মোট ৬৪ হাজার ৬৩৮ কর্মীকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
ফেরত আসাদের মধ্যে সাথী বেগম (৩০) নামে একজন এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে তাকে বিমানবন্দর থেকে প্রবাসী কল্যাণ ডেক্সের সহায়তায় উত্তরার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বছর খানেক আগে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন সাথী। সেখানে তিনি নিযোগকর্তার নির্যাতনের শিকার হন। সাথীর সাথে একই সমস্যা নিয়ে দেশে ফিরেছেন ঢাকার হিরা খাতুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবেদা খাতুন, সুনামগঞ্জের আমিরুন বেগম ও মৌলভীবাজারের ফারজানা আক্তারসহ ২০ নারী।
ফেরত আসা পাবনার শরিফ জানান, মাত্র এক বছর আগে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। সেখানে কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও তাকে শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে। কিশোরগঞ্জের শাকিল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাইরুল ইসলামের গল্পটাও একই। কোনো কারণ ছাড়াই এক বছরের মাথায় দেশে ফিরতে হলো তাদের। তাদের সাথে ফিরেছেন পিরোজপুরের শামিম, ময়মনসিংহের আমিন এবং কুমিল্লার বাবুল ও রশিদসহ ১৮৩ কর্মী।
শরিফুল হাসান বলেন, ফেরত আসা প্রবাসীদের আমরা শুধু বিমানবন্দরে সহায়তা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছি না। তারা যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারেন সে জন্য কাউন্সিলিং, দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও আর্থিকভাবেও পাশে থাকার চেষ্টা করছি। দূতাবাস ও সরকারকেও বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা