১৯ ঘন্টা একটানা উড়ে নিউ ইয়র্ক থেকে সিডনি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:৫৮, আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:২৩
১৯ ঘন্টা একটানা উড়ে সিডনিতে পৌঁছানোর পর কোয়ানটাস এয়ারলাইন্সের ক্রুরা তাদের সাফল্য উদযাপন করছেন। অস্ট্রেলিয়ার কোয়ানটাস এয়ারলাইন্স বিশ্বের দীর্ঘতম বিরামহীন যাত্রীবাহী ফ্লাইটের এক সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। নিউ ইয়র্ক থেকে সিডনি পর্যন্ত এই ফ্লাইটটি চালানো হয় এক গবেষণার অংশ হিসেবে।
এরকম একটানা দীর্ঘযাত্রা মানুষের দেহে কী প্রভাব ফেলে - সেটা জানতেই এই গবেষণা ।
বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারে মোট ৪৯ জন আরোহী ছিলেন। নিউ ইয়র্ক থেকে সিডনিতে পৌঁছাতে এই ফ্লাইটে মোট ১৯ ঘন্টা ১৬ মিনিট সময় লাগে। ১৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে উড়োজাহাজটি।
কোয়ানটাস এয়ারলাইন্স সামনের মাসে একই ধরণের দূরপাল্লার একটি ফ্লাইট চালাবে লণ্ডন থেকে সিডনি পর্যন্ত।
কোয়ানটাস আশা করছে, এসব রুটে তারা নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনার ব্যাপারে এ বছরের শেষ নাগাদ একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে। ২০২২ সাল বা ২০২৩ সাল নাগাদ এরকম ফ্লাইট চালুর কথা ভাবছে কোয়ানটাস।
এখন পর্যন্ত কোন বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের পক্ষে সব আসনে যাত্রী এবং মালামাল নিয়ে এত দূরের পথ পাড়ি দেয়া সম্ভব নয়।
কোয়ানটাস এয়ারলাইন্সের এই ফ্লাইটে তাই খুব কম যাত্রী নেয়া হয় এবং মালামালও নেয়া হয় কম। যাতে করে বিমানটিতে অনেক বেশি জ্বালানি বহন করা যায়।
যাত্রীরা যখন ফ্লাইটে ওঠেন তখন তাদের ঘড়ি মিলিয়ে নেন সিডনির সময়ের সঙ্গে। এরপর পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় যে সময়ে সন্ধ্যা নামে, সেরকম সময় পর্যন্ত যাত্রীদের জাগিয়ে রাখা হয়, যাতে করে তাদের জেটল্যাগ কমানো যায়।
ছয় ঘন্টা পর তাদের দেয়া হয়েছিল উচ্চ শর্করা যুক্ত খাবার। এরপর উড়োজাহাজের ভেতরের আলো কমিয়ে দেয়া হয় যাতে করে যাত্রীরা ঘুমাতে পারেন।
ফ্লাইটের পাইলট আর অন্যান্য ক্রুদের ব্রেন ওয়েভও মনিটর করা হয়। যাত্রীদের জন্য ছিল শরীরচর্চার ব্যবস্থা। এতগুলো টাইমজোন একবারে পাড়ি দিলে শরীরের কী পরিবর্তন ঘটে, সেগুলো নিয়েও পরীক্ষা চালানো হয়।
কোয়ানটাস গ্রুপের প্রধান নির্বাহী অ্যালান জয়েস এই ফ্লাইটকে বিশ্বের বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন। বিশ্বে সাম্প্রতিক সময়ে দূরপাল্লার ফ্লাইটের চাহিদা বেড়েছে।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স গত বছর সিঙ্গাপুর হতে নিউ ইয়র্ক পর্যন্ত প্রায় ১৯ ঘন্টার এক ফ্লাইট চালু করে। বিশ্বে এটাই সবচেয়ে দূরপাল্লার বাণিজ্যিক ফ্লাইট।
আর কোয়ানটাস এয়ারলাইন্সও গতবছর অস্ট্রেলিয়ার পার্থ হতে লণ্ডন পর্যন্ত ১৭ ঘন্টার একটানা ফ্লাইট চালু করে। কাতার এয়ারওয়েজের সাড়ে সতেরো ঘন্টার একটি ফ্লাইট আছে অকল্যান্ড হতে দোহা পর্যন্ত। বিবিসি।