ভিডিও গেমসের মারাত্মক প্রভাব ঠেকাতে অভিনব কৌশল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:১৬
সম্প্রতি অল্প বয়সী ছেলে-মেয়েদের মধ্যে চোখের সমস্যা একটি সাধারণ সমস্যা। এর মধ্যে কাছের দৃশ্য দেখতে সমস্যা হওয়া থেকে শুরু করে রয়েছে মাইওপিয়া পর্যন্ত। এর ফলে মানুষের চোখের দৃষ্টি ক্রমে ক্ষীণ হতে থাকে। চীনে এই সমস্যা এতো প্রকট হয়ে উঠেছে যে অভিভাবকদের পাশাপাশি সরকারকেও এখন সেদিকে দৃষ্টি দিতে হচ্ছে। কিন্তু যে সমাধান কর্তৃপক্ষ ভাবছে, তা বেশ অভিনব।
তারা ভাবছে, অল্প বয়সী ছেলে-মেয়েদের ভিডিও গেমস খেলার রাশ টেনে ধরতে হবে। মানে হলো, বয়সের ভিত্তিতে কে কতক্ষণ ভিডিও গেমস খেলতে পারবে তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সেই সাথে কতগুলো গেমস ডাউনলোড করা যাবে, আর কতক্ষণ খেলা যাবে- তা নির্ধারণ করে দেবে কর্তৃপক্ষ।
চীনে শিশুদের পড়াশোনায় রয়েছে বেশ চাপ
২০১৫ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, এক শ' কোটির মানুষের দেশ চীনের অর্ধেক মানে ৫০ কোটির বেশি মানুষ চোখের সমস্যায় ভুগছে।
কিন্তু বিশ্বে ভিডিও গেমসের সবচেয়ে বড় বাজারও চীন। এক্ষেত্রে গেমস উদ্ভাবন আর বাজারজাতকরণেও এগিয়ে আছে চীন।
সরকার কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে?
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এ সপ্তাহের শুরুতে বলেছেন, দেশটির মানুষের চোখের স্বাস্থ্যের দিকে ব্যাপক মনোযোগ দেয়া দরকার। এরপর বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন এক নীতি ঘোষণা করেছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, শিশুদের পড়াশোনার মাত্রাতিরিক্ত চাপ, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘরের বাইরে খেলাধুলা ও ব্যয়ামের অভাবেই চোখের অসুখ বাড়ছে।
যদিও মোবাইল ফোনের কারণে মাইওপিয়া বাড়ছে এমন কোনো সমীক্ষা নেই চীনের কাছে। তবে, এর আগে মোবাইলকে মাইওপিয়ার সম্ভাব্য কারণের মধ্যে উল্লেখ করেছেন অনেক গবেষক।
সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তির হার অনেক বেড়েছে এবং বিশেষ করে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে।
এ মাসের শুরুতে ব্লকবাষ্টার ভিডিও গেম মনস্টার হান্টার ওয়ার্ল্ড বানিয়েছে যে প্রতিষ্ঠান, টেনসেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্রির পর অনেক ক্রেতাই গেমটি সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়েছে।
এর আগে গত বছর একই প্রতিষ্ঠানের রিলিজ করা আরেকটি গেম অনার্স অব কিংস নিয়েও অভিযোগ উঠেছিল যে এটি মাদকের মত মোহাবিষ্ট করে রাখে।
গণমাধ্যমে তখন এর ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।
গত মার্চে স্থানীয় গেম নির্মাতাদের লাইসেন্স দেয়া বন্ধ করেছিল কর্তৃপক্ষ।
চীনের বাজারে কী প্রভাব?
নতুন সরকারি সিদ্ধান্ত আসার পর শুক্রবার চীনের পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত গেমস কোম্পানির দর কমে গেছে।
টেনসেন্টের দর কমেছে পাঁচ শতাংশের উপরে, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির কয়েক শ' কোটি ডলারের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।
চীনের মোবাইল ভিডিও গেমসের বাজারের ৪২ শতাংশের বেশি অংশের মালিক টেনসেন্ট।
এখন টিকে থাকার জন্য টেনসেন্টের মত বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশী প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্বের কথা ভাবছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা