১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ৯ রজব ১৪৪৬
`

টিকটকার মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ

টিকটকার মামুন - ছবি : সংগৃহীত

টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে অপর টিকটকরার লায়লাকে ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। মামুনকে এ মামলায় অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানা গেছে।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান তদন্ত শেষে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ সংক্রান্ত অভিযোগপত্র জমা দেন।

পরে সেটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ পাঠানো হয়।

এর আগে গত ৯ জুন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন লায়লা। মামলার পরদিন তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে শুনানি শেষে জামিন ও রিমান্ড উভয় নামঞ্জুর করে এ টিকটকারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এরপর গত ১ জুলাই জামিনে মুক্তি পান তিনি। বর্তমানে জামিনেই আছেন আলোচিত এই টিকটকার।

তদন্তে যা পাওয়া গেছে, প্রিন্স মামুন সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে একজন টিকটকার হিসেবে পরিচিত। অপরদিকে বাদি লায়লা ফেসবুকে বেশ পরিচিত মুখ। তিনি বিবাহিত। স্বামীর সাথে বনিবনা না থাকায় ফ্ল্যাটে সন্তানদের নিয়ে একাই থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মামুনের সাথে পরিচয় হয় লায়লার। পরে একপর্যায়ে লায়লার সাথে মিডিয়াতে কাজ করার আগ্রহ পোষণ করেন টিকটকার মামুন।

এরপর ২০২২ সালের শুরুর দিকে এক সাথে পথচলা শুরু করেন মামুন ও লায়লা। পরবর্বীতে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে, যা পাকাপোক্ত করার জন্য দু’জনই এক সাথে লায়লার বাসায় থাকা শুরু করেন। সম্পর্ক ঘনিভূত হওয়ার কারণে আইডি, এনআইডি, পাসপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্রে লায়লার ঠিকানা ব্যবহার করতে থাকেন মামুন। এরপর বিয়ে করবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একই ফ্ল্যাটে বসবাস করতে থাকেন। আর একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করেন।

এর আগে মামলার অভিযোগে লায়লা বলেন, প্রিন্স মামুনের সাথে আমার গত তিন বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মত নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায় তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দেই।

২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সাথে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সাথে একই রুমে থাকতে শুরু করেন। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে একাধিকবার আমার সাথে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করেন। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতেন। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করতেন।

সর্বশেষ ১৪ মার্চ মামুন আমার শয়ন কক্ষে আগের মতো আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে।


আরো সংবাদ



premium cement
সিরিয়ার কোনো অংশ দখলের ইচ্ছা নেই তুরস্কের : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকি চীনের জন্য সতর্কতা : মেলোনি সিরিয়ায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার ওপর পাকিস্তানের গুরুত্বারোপ সহ-সমন্বয়ক রাফির নামে বিকাশে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্যটি ভুয়া ইয়েমেনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম নয় ইসরাইল : হাউছি জামায়াতের সাথে বিএনপির দূরত্বের কিছু নেই : নজরুল ইসলাম খান রাজধানী বদলাচ্ছে ইরান পুতিনের সাথে বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে : ট্রাম্প গোপালগঞ্জে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২ শিক্ষার্থী নিহত নাটোরের মহাশ্মশানে আলোচিত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত গ্রেফতার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটে ভোগান্তি

সকল