গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যোগ দিতে ইচ্ছুক মালয়েশিয়া
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:০৭, আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১৪:৪২
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দেয়ার কথা জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীও ইন্দোনেশিয়ার সাথে একযোগে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে মালয়েশিয়ার বার্নামা জাতীয় বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে বলা হয়, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে জাতিসঙ্ঘ যদি এই ধরনের অভিযানের আদেশ দেয় তাহলে তারা ইন্দোনেশিয়ার সাথে শান্তিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দেবে।
বার্নামা আরো জানিয়েছে, সোমবার আনোয়ার ও ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রাবোও সুবিয়ান্তোর মধ্যে টেলিফোনে আলোচনা হয়।
এতে বলা হয়, তাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল ফিলিস্তিনের জন্য জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার অংশগ্রহণের বিষয়টি।
সংবাদ সংস্থা বলেছে, আনোয়ার ইব্রাহিম ফিলিস্তিনে শান্তিরক্ষা সহযোগিতা ‘আসিয়ান অঞ্চল প্রসারিত করার’ সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।
এর আগে এশিয়ার প্রধান নিরাপত্তা সম্মেলনে শাংগ্রি-লা ডায়ালগে বক্তৃতা করার সময় ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে প্রয়োজনে শান্তিরক্ষী সেনা পাঠাতে ইচ্ছুক ইন্দোনেশিয়া।
প্রাবোও বলেন, ‘যখন প্রয়োজন হবে এবং জাতিসঙ্ঘের অনুরোধ আসবে তখনই আমরা সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি বজায় রাখা ও তা পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি সব দল ও সব পক্ষকে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রদানের জন্য উল্লেখযোগ্য শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে প্রস্তুত আছি।’
প্রাবোও আরো বলেন, গাজার রাফাহ এলাকায় মানবিক বিপর্যয় নিয়ে একটি তদন্তের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পরিস্থিতির ‘ন্যায্য সমাধান’ প্রয়োজন।
এ কথাটির ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘এর অর্থ শুধু ইসরাইলের অস্তিত্বের অধিকার নয়, ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব মাতৃভূমি, নিজস্ব রাষ্ট্র এবং শান্তিতে বসবাস করার অধিকারও।’
সূত্র : আল-জাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা