ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন : দ্বিতীয় দফায় গড়ানোর সম্ভাবনা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৯ জুন ২০২৪, ১৪:১৯
ইরানে শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে এবং প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। রাজধানী তেহরানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনে স্থাপিত নির্বাচনি সদরদফতরের মুখপাত্র মোহসেন ইসলামি ভোট গণনার সর্বশেষ পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন।
এতে দেখা যাচ্ছে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাসুদ পেজেশকিয়ান ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮১ ভোট পেয়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জালিলি পেয়েছেন ৫৫ লাখ ৬০ হাজার ৩২১ ভোট। এছাড়া, এ নির্বাচনের বাকি দুই প্রার্থী পার্লামেন্ট স্পিকার বাকের কলিবফ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি পেয়েছেন যথাক্রমে ১৮ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৫ ভোট এবং ১ লাখ ১১ হাজার ৯৬৭ ভোট।
এদিকে দুই প্রার্থী পেজেশকিয়ান ও জালিলির মধ্যে তুমুল লড়াই চললেও দু’জনের কেউ শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট পাননি। ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হলে শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে আবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবারের ভোটাভুটির চূড়ান্ত ফলাফলে কেউ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হলে আগামী ৫ জুলাই দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণ করা হবে।
এর আগে ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সময়সীমা শুক্রবার তিন দফা বাড়ানোর পর শেষ পর্যন্ত রাত ১২টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়।
শুক্রবারের ভোটগ্রহণের জন্য সারাদেশে প্রায় ৫৮ হাজার ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল। এছাড়া, ৯৫টি দেশে বসবাসরত প্রবাসী ইরানি নাগরিকদের জন্য বিশ্বজুড়ে ৩১৪টি ভোটকেন্দ্র খোলা হয়েছিল। ওইসব কেন্দ্রেও ইরান সময় শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়।
ইরানের নির্ধারিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৫ সালের জুন মাসে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৯ মে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি তার সাত সফরসঙ্গীসহ এক মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার কারণে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। ইরানে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছর।
ইব্রাহিম রাইসির নিহতের পর সংবিধান অনুসারে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মোখবের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন এবং তার তত্ত্বাবধানে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনে চার প্রার্থী তথা সাবেক পরমাণু আলোচক সাঈদ জালিলি, পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মাদ বাকের কলিবফ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাসুদ পেজেশকিয়ানের মধ্যে যেকোনো একজনকে বেছে নেয়ার জন্য নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন ছয় কোটি ১০ লাখ।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুরো ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্ব পালন করছে।
সূত্র : পার্সটুডে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা