গাজায় হামাস যোদ্ধা ও ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ মে ২০২৪, ১৯:১৪
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর সাথে রাতভর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের তুমুল লড়াই হয়েছে। অব্যাহত রয়েছে ইসরাইলি বোমা হামলাও।
ইসরাইলি বাহিনী গাজা শহরের মধ্য এলাকাকে লক্ষ্য করে এ বোমা হামলা চালাচ্ছে। হামলা চালিয়েছে নুসেইরাত শরণার্থী ক্যাম্পেও। এ ক্যাম্পের একটি মসজিদেও হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আল-মুগরাকা এলাকার বোমা হামলা অব্যাহত রয়েছে। এখানেই হামাস যোদ্ধা ও ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদের মাঝে তুমুল লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
একই সময়ে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মধ্য গাজায় অবস্থান নেয়া ইসরাইলি বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেখানে তুমুল সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময় চলছে।
কামান থেকে বোমা হামলা অব্যাহত রয়েছে গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে। বিশেষ করে সেইখ ইজলিন এলাকায়। তবে এখন পর্যন্ত সেখানে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫,৫৯৬
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত আক্রমণে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৫৯৬ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো ৭৭ হাজার ৮১৬ জন। বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছে ২৮ জন আর আহত হয়েছে আরো ৫১ জন।
চিকিৎসা স্থাপনায় ৪০০’র বেশি আক্রমণ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর থেকে গাজার ৪ শতের বেশি চিকিৎসা স্থাপনায় আক্রমণ চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। ৪৪৩টি হামলায় নিহত হয়েছে ৭২৩ জন এবং আহত হয়েছে আরো ৯২৪ জন চিকিৎসাকর্মী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এতে আরো জানানো হয়, হামলায় ১০১টি চিকিৎসা স্থাপনা ও ১০৬টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস করা হয়েছে।
খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালসহ কয়েকটি চিকিৎসা স্থাপনার ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ এখনো উন্মোচিত হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ইসরাইলি বাহিনী এ হাসপাতালটি ঘেরাও করে আক্রমণ করেছিল।
এদিকে, এ হাসপাতাল এলাকায় সন্ধান পাওয়া গেছে কয়েকটি গণকবরের। এসব গণকবরে ৩০০’রও বেশি লাশ পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে ওই হাসপাতালের রোগী ও শিশুরা রয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা