মৃত মায়ের গর্ভে জন্ম নিলো নতুন প্রাণ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৮, আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৪৮
চারদিকে কান ফাটানো গোলা-গুলির আওয়াজ। বারুদের গন্ধে ভারী বাতাস। ভাঙা বাড়ির নিচে আটকে রয়েছে লাশ। গত সাত মাস ধরে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে ফিলিস্তিনের গাজার এই ধ্বংসের ছবি দেখছে বিশ্ব।
কিন্তু এই ধ্বংসের মধ্যেও প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর বোমাবর্ষণে মৃত্যু হয়েছিল মায়ের। কিন্তু মাতৃ গর্ভে তখনও বেঁচে ছিল শিশুটি। চিকিৎসকদের তৎপরতায় ভূমিষ্ঠ হয় নবজাতক। চিকিৎসায় ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠছে সে।
কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ গাজার রাফায় হামলা চালিয়েছিল ইসরাইলি বাহিনী। রাফাহ শহরের দু’টি বাড়ি আছড়ে পড়েছিল ক্ষেপণাস্ত্র। এতে প্রাণ হারায় ৩০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা সাবরিন আল-সাকানি। কিন্তু যখন তার মৃত্যু হয়, গর্ভে প্রাণ ছিল সন্তানের। সাবরিনকে যখন উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়, তখনই সি-সেকশন করে বের করা হয় শিশুটিকে।
ইসরাইলের হামলায় নিহত হয়েছেন সাবরিনের স্বামী ও ছোট্ট মেয়ে মালাক।
জানা গেছে, মালাকের নাকি খুব ইচ্ছে ছিল ফুটফুটে বোনের। যার নাম রাখা হবে রুহ। বোনই হয়েছে মালাকের। কিন্তু সেই আদরের বোনের সাথে খেলার ইচ্ছে আর পূরণ হলো না তার।
রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, এই মুহূর্তে রাফার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা শিশুটির। হাসপাতালই এখন যেন তার বাড়ি হয়ে উঠেছে। জন্মের সময় মাত্র এক কেজি ৪০০ গ্রাম ওজন হয়েছিল তার। রাখতে হয়েছিল ইনকিউবেটরে। চিকিৎসক মোহাম্মদ সালামার তত্ত্বাবধানেই রয়েছে দুধের শিশুটি।
ডা. সালামার জানান, ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠছে শিশুটি। জন্মের পর তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন তার চাচা রামি আল-শেখ। চোখের পানি মুছতে মুছতে তিনি বলেন, ‘আজ যদি মালাক থাকতো, বোন হয়েছে শুনে খুব খুশি হতো। আল্লাহ ওর কথা শুনেছেন।’
সূত্র : সংবাদপ্রতিদিন