আরব আমিরাতে স্বাস্থবিধি মেনে খুলছে মসজিদ
- মুহাম্মাদ ইছমাইল আরব আমিরাত
- ৩১ মে ২০২০, ০৬:১৬, আপডেট: ৩১ মে ২০২০, ০৬:০৯
আরব আমিরাতে নির্ধারিত স্বাস্থবিধি অনুসরণ সাপেক্ষে আবার চালু হচ্ছে মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয় । অবশ্য মসজিদগুলো ঠিক কবে নাগাদ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে ইসলামিক বিষয় ও দাতব্য কার্যক্রম বিভাগের পক্ষ থেকে এখনো ঘোষণা করা হয়নি। তবে মসজিদগুলো চালু করার আগে এ সম্পর্কে সচেতন করার জন্য বিস্তারিত গাইডলাইন ও সতর্কতা জারি করেছে।
কয়েকটি মসজিদে নির্দেশিকার বিস্তারিত পোস্টার লাগানো হয়েছে। মসজিদগুলো খোলার সময় এসব নির্দেশিকা মুসল্লিদের অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
গাইডলাইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে মসজিদগুলো খোলার পরও নারী প্রার্থনা হলগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ৬০ বছরের বেশি এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশুরা তাদের নিজস্ব সুরক্ষার জন্য মসজিদে নামাজ পড়তে আসতে পারবে না।
মসজিদে নামাজ পড়তে আসার সময় মুসল্লিদেরকে অবশ্যই এই নতুন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে:
* মুসল্লিদের প্রতি দুই সারির মধ্যে একটি ফাঁকা সারির ফাঁক রাখতে হবে।
* প্রতি দুই ব্যক্তির মধ্যে ১.৫ মিটার ফাঁক রেখে দিতে হবে।
* সমস্ত মুসল্লির গ্লাভস ও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
* সব মুসল্লিকে তাদের নিজস্ব মুসাল্লা (জায়নামাজ) মসজিদে আনতে হবে।
* কোনো হ্যান্ডশেকের অনুমতি নেই, মুসল্লিদের একে অপরের দিকে কেবল দোলা দিতে পারে এবং দূর থেকে সালাম বলতে পারবেন।
* নামাজের আগে বা পরে মুসল্লিরা কোনো কারণেই একত্রিত হওয়া যাবে না।
* ইমামের পিছনে ফরজ নামায শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় জামাত করা যাবে না।
* জামাতে ফরজ নামায শেষ হওয়ার সাথে সাথে অবশ্যই মসজিদ ত্যাগ করতে হবে।
* যারা কোভিড -১৯ রোগীর সংস্পর্শে আছেন তাদেরকে অন্য নামাজিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য মসজিদে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
* যারা দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন, তাদের অন্যদের সুরক্ষার জন্য মসজিদে নামাজ পড়তে নিষেধ করা হয়েছে।
বয়স সীমাবদ্ধতা
* ৬০ বছরের বেশি বয়সী বয়স্ক ব্যক্তিরা এবং ১২ বছরের নিচে বাচ্চাদের তাদের নিজের সুরক্ষার জন্য মসজিদে নামাজের জন্য আসতে পারবেন না।
মসজিদে নামাজের বিধি :
* মসজিদটি আজানের সময় থেকে জামাতে ফরজ নামাজের শেষ পর্যন্ত ২০ মিনিটের জন্য উন্মুক্ত থাকবে (এতে প্রায় ২০ মিনিট সময় লাগে)
* ফরজ নামায আজানের পরপরই আদায় করা হবে।
* প্রতিটি জামাতের নামাজের পরেই মাজিদটি বন্ধ হয়ে যাবে।
* মুখোশ ও গ্লাভস ছাড়া মসজিদে প্রবেশে অনুমতি নেই।
* সব ধরণের বিতরণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
* মসজিদের দরজা আজান শুরু থেকে নামাজের শেষ পর্যন্ত খোলা রাখতে হবে।
* পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নারী প্রার্থনা হল বন্ধ থাকবে।
* বাথরুম ও অজুর স্থান পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সর্বপ্রথম গত ১৬ মার্চ সকল মসজিদে সর্বসাধারণের নামাজ স্থগিত করার কথা ঘোষণা করেছিল, মসজিদে নামাজ বন্ধ করার জন্য একটি ফতোয়া জারি করা হয়েছিল। জাতীয় সঙ্কট ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও জেনারেল অথরিটি ফর ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড এন্ডোমেন্টস (জিএআইএ) জানিয়েছে যে করোনাভাইরাস রোধে ও জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ১৬ মার্চ রাত ৯টা থেকে মসজিদ, গির্জা ও মন্দিরে প্রার্থনা স্থগিত করে।
৯ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাত পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি দেয়া পর্যন্ত মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয় বন্ধের মেয়াদ বাড়িয়েছিল।
এ বছর নাগরিক ও বাসিন্দাদের নিজ ঘরে রমজান, তারাবি ও ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে এবং সামাজিক ও জনসমাবেশকে সীমাবদ্ধ রাখতে নির্দেশ জারি করে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত কয়েক হাজার মসজিদ, ৪০টিরও বেশি খ্রিস্টান গির্জা ও হিন্দু মন্দির রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা