মার্কিন বাহিনীর ওপর ইরাকি হামলার বিরুদ্ধে পম্পেওর হুঁশিয়ারি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ মার্চ ২০২০, ০৯:৫০
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদিকে টেলিফোন করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও হুমকি দিয়েছেন, ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে আবার হামলা হলে ওয়াশিংটন তা সহ্য করবে না। পম্পেও সোমবার এক টুইটার বার্তায় ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর সাথে নিজের টেলিফোনালাপের কথা উল্লেখ করে এ তথ্য জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটি তাজিতে সম্প্রতি যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি সহ্য করা হবে না। পম্পেও লিখেছেন, আত তাজিতে রক্তক্ষয়ী হামলা সম্পর্কে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদির সাথে আমার কথা হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছি।
গত বুধবার তাজি ঘাঁটিতে রকেট হামলায় একজন মার্কিন সেনা ও একজন মার্কিন ঠিকাদারের পাশাপাশি একজন ব্রিটিশ সেনা নিহত হয়। সন্ত্রাসী মার্কিন সেনারা কোনো প্রমাণ উপস্থাপন ছাড়াই ওই হামলার জন্য ইরাকের জনপ্রিয় আধাসামরিক বাহিনী হাশদ আশ শাবিকে দায়ী করে ওই বাহিনীর চারটি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়। এতে হাশদ আশ শাবির বহু জওয়ান হতাহত হয়। হাশদ আশ শাবি মার্কিন ঘাঁটি তাজিতে হামলা চলানোর দায়িত্ব স্বীকার করেনি। তবে ইরানিদের দাবি, ইরাকের এই আধাসামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রই নিজের ঘাঁটিতে হামলার নাটক সাজিয়েছে।
দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি গুটিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
এদিকে বিবিসি জানায়, সম্প্রতি ইরানের সমর্থিত কাতাইব হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর বেশ কয়েকটি রকেট হামলার ঘটনার পরই ইরাক থেকে এসব সেনাঘাঁটি গুটিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন সরকার। সিরিয়া সীমান্তবর্তী আটটি সেনাঘাঁটির মধ্যে তিনটি ঘাঁটি গুটিয়ে ইরাকের সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।এই সপ্তাহে আল কায়েম সেনাঘাঁটিতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইরাকি সেনাবাহিনীর কাছে ঘাঁটিটি হস্তান্তর করবে যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৪ সালে ইরাকের আল কায়েম এলাকাটি দখল করে আইএস। এরপর থেকেই সেখানে মার্কিন বাহিনী এবং ইরাকি সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান শুরু করে। ২০১৭ সালে আল কায়েম এলাকা দখল করে ইরাকি সেনাবাহিনী। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসের কাছে রকেট হামলার ঘটনায় এক ইরাকি সেনা এবং একজন মার্কিন ঠিকাদার নিহত হন। হামলার জন্য ইরানের ঘনিষ্ঠ ইরাকি গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহকে দায়ী করে তাদের অবস্থানে পাল্টা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া বাগদাদে বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের কুদস ফোর্সের জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও কাতাইব হিজবুল্লাহর সহপ্রতিষ্ঠাতা আবু মাহদি আল মুহান্দিসকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকেই মার্কিন সেনাঘাঁটিতে আরো বেশ কয়েকটি রকেট হামলা চালানো হয়। সূত্র : এএফপি