২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ ফাল্গুন ১৪৩০, ২২ শাবান ১৪৪৬
`

‘প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক জোরদার ইরানের চূড়ান্ত নীতি’

- ছবি : পার্সটুডে

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের চূড়ান্ত নীতি। পেজেশকিয়ানের সরকারের ঘোষিত নীতিতেও এই বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। আল্লাহর রহমতে এ ক্ষেত্রে অনেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিছু অগ্রগতিও অর্জিত হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচি এ ক্ষেত্রে খুবই তৎপর।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আলে সানি এবং তার সফরসঙ্গীরা গতকাল (বুধবার) বিকেলে তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

ইসলামী বিপ্লবের নেতা আশা প্রকাশ করে বলেন, তেহরানে সম্পাদিত চুক্তিগুলো উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর হবে এবং উভয় পক্ষই তাদের প্রতিবেশীসুলভ দায়িত্ব-কর্তব্য আগের চেয়ে আরো বেশি করে পালন করতে সক্ষম হবে।

আয়াতুল্লাহ খামেনি আঞ্চলিক বিষয়াদি সম্পর্কে কাতারের আমিরের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে আরো বলেন, আমরা কাতারকে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করি, যদিও আমাদের মধ্যে এখনো কিছু অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে, যেমন দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কাতারে স্থানান্তরিত ইরানি পাওনা (অর্থ) ফিরে আসেনি। আমরা জানি এ ক্ষেত্রে যেসব সমঝোতা হয়েছিল তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হলো আমেরিকা।

‌ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘আমরা কাতারের জায়গায় থাকলে মার্কিন চাপ উপেক্ষা করে ইরানের পাওনা পরিশোধ করতাম। আমরা এখনো কাতারের কাছ থেকে এমন পদক্ষেপ আশা করি।’

ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা জোর দিয়ে বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের মধ্যে কোনো তফাৎ নেই।

এই বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. পেজেশকিয়ানও উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আলে সানি ইসলামী বিপ্লবের নেতার সাথে সাক্ষাত করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং বিশ্বের নির্যাতিত মানুষ ও ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের দৃঢ় অবস্থানের প্রশংসা করেন।

সর্বোচ্চ নেতাকে সম্বোধন করে কাতারের আমির বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে আপনার অবস্থানের কথা চিরদিন মনে থাকবে।’

এই অঞ্চলের বিশেষ ও কঠিন পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে কাতারের আমির এমন পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা গড়ে তোলা জরুরি বলে মন্তব্য করেন।

শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আলে সানি ইরান ও কাতারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিগুলোর কথাও উল্লেখ করেন, এসব চুক্তির মধ্যে একটি হলো দুই দেশের মধ্যে পানির নিচে টানেল নির্মাণ। কাতারের আমির আরো বলেন, ‘সম্পাদিত চুক্তির ভিত্তিতে দুই দেশের যৌথ কমিশন শিগগিরই কাজ শুরু করবে এবং অদূর ভবিষ্যতে দুই দেশের অর্থনৈতিক লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।’

সূত্র : পার্সটুডে


আরো সংবাদ



premium cement