৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৫
`

উত্তর গাজায় ফিরেছে ৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি

উত্তর গাজায় ফিরেছে ৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি - ছবি : আল-জাজিরা

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গত ৭২ ঘণ্টায় ৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি উত্তর গাজায় ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে যে গত ৭২ ঘণ্টায় পাঁচ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আল-রশিদ এবং সালাহ আল-দিন রাস্তা দিয়ে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় গভর্নরেটে ফিরে এসেছেন।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি দখলদার সেনাবাহিনী কর্তৃক গণহত্যা শুরুর পর থেকে ৪৭০ দিনের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সময় পার করে তারা নিজ এলাকায় ফিরেছেন।

উত্তর গাজার এই বাসিন্দাদের বড় একটি অংশ এতদিন ইসরাইলি বাহিনীর হামলার জেরে উপত্যকার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

আল-জাজিরা আরো জানিয়েছে যে- উত্তর গাজায় পানি, খাবার, আশ্রয় বা স্যানিটেশনের কোনো ব্যবস্থা না পেয়ে কিছু প্রত্যাবর্তনকারী ছিটমহলের কেন্দ্রস্থলে ফিরে যাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। দেশটির অব্যাহত এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।

জাতিসঙ্ঘের হিসাব মতে, গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসাথে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিসরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।

ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে।
সূত্র : আল-জাজিরা

 


আরো সংবাদ



premium cement