বন্দী ও বন্দী বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মিসরের

মিসর ইসরাইলে কিছু ফিলিস্তিনি বন্দীর সাথে চার ইসরাইলি বন্দী বিনিময়ের জন্য গাজা উপত্যকায় দুই দিনের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি উদ্যোগের প্রস্তাব করেছে। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল-ফাত্তাহ আল-সিসি রোববার একথা ঘোষণা করেন।

কায়রো থেকে সিনহুয়া জানায়, আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেল মজিদ তেবোউনের সাথে রোববার কায়রোতে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সিসি বলেন, ‘গত কয়েক দিনে মিসর ইসরাইলি কারাগারে কিছু ফিলিস্তিনি বন্দীর সাথে চার ইসরাইলি বন্দী বিনিময়ের পরিবেশ সৃষ্টিতে দুই দিনের যুদ্ধবিরতি বলবৎ করার লক্ষ্যে একটি উদ্যোগের প্রস্তাব নিয়ে ঐকান্তিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘১০ দিনের মধ্যে একটি সার্বিক যুদ্ধবিরতি এবং গাজায় নিরাপদ ত্রাণ সরবরাহ পৌঁছানোর জন্য আলোচনা শুরু হবে।’

মিসরের প্রেসিডেন্ট গাজা উপত্যকার বাইরে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা প্রত্যাখ্যান করে সতর্ক করেছেন যে গাজার ফিলিস্তিনি জনগণ একটি মারাত্মক অবরোধে ভুগছে, যা ক্ষুধাজনিত মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হতে পারে।

লেবাননের সঙ্কট প্রসঙ্গে সিসি বলেন, তিনি তার আলজেরীয় প্রতিপক্ষের সাথে এই অঞ্চলে সঙ্ঘাত না বাড়াতে এবং একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছেন।

আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজার জনগণ একটি ‘পূর্ণ গণহত্যার’ যন্ত্রণা ভোগ করছে।

যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে সিসির উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে তিনি উল্লেখ করেন যে তার দেশ মিসরের সাথে একটি যুদ্ধবিরতি সহজতর করার জন্য কাজ করছে, যা গাজার ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো সুগম করবে।

তেবোউন বলেন, ‘আলজেরিয়া জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি সমাধানে পৌঁছানোর জন্য বা অন্তত গণহত্যা বন্ধ করার জন্য যা যা করা সম্ভব সবই করছে।’

৭ অক্টোবর ২০২৩-এ দক্ষিণ ইসরাইলি সীমান্ত দিয়ে হামাসের তা-বের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ইসরাইল গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে একটি বড় আকারের আক্রমণ পরিচালনা করছে। এ সময় প্রায় ১২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৫০ জন বন্দী হয়েছে।

সূত্র : বাসস