২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

ইসরাইল আরো ভয়াবহ হামলা চালাবে!

শনিবার ভোররাতে তেহরানে ইসরাইলি হামলা চালানোর পরের একটি মুহূর্ত - সূত্র : সিএনএন

ইসরাইল শনিবার ভোররাতে দু'দফা বিমান হামলা চালিয়েছে ইরানে। প্রধানত ইরানি বিমান প্রতিরক্ষা স্থাপনাগুলোকে ধ্বংস করতে এসব হামলা চালানো হয়। তবে অনেকে আশঙ্কা করছেন, ইসরাইল আরো ভয়াবহ হামলা চালাতে যাচ্ছে।

কুইন্সি ইনস্টিটিউট ফর রেসপনসিবল স্টেটক্রাফট নামের থিঙ্ক ট্যাংকের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ত্রিতা পারসি বলেন, ইরানে ইসরাইলি হামলার প্রবাহ উদ্বেগজনক। এতে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে আরো খারাপ কিছু আসছে।

পারসি আল জাজিরাকে বলেন, 'আমি মনে করি, আমাদের এখন একটু সতর্ক থাকা দরকার। কারণ, আমরা দুই দফা হামলা দেখেছি। এমন সম্ভাবনা আছে যে আরো কয়েক দফা হামলা হবে।'

তিনি বলেন, 'পরের হামলাগুলো আরো ভয়াবহ হতে পারে। কারণ প্রথমগুলোর টার্গেট ছিল বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তারা চেয়েছে, ইরানের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করতে, যাতে এরপর আরো ভয়াবহ হামলা চালানো যেতে পারে।'

পারসি বলেন, 'এখন পর্যন্ত আমরা শুনছি যে কোনো হতাহত হয়নি, সীমিত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এটা বলা হচ্ছে ইসরাইলি হামলার ক্ষতি নাকচ করে দিতে। আর এতে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে ইরানিরা উত্তেজনা আর বাড়তে দিতে চায় না।'

পারসি বলেন, 'তবে এটা পরিষ্কার নয় যে কয়েক ঘণ্টা পরও অবস্থা এমন থাকবে। তৃতীয় দফা, চতুর্থ দফা, পঞ্চম দফায় ইসরাইলি হামলা হতে পারে।'


প্রথম দফায় তেহরান এবং পাশের কারাজ নগরীতে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় দফায় শিরাজ নগরীতে হামলা চালানো হয়। তবে এতে কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, কোন ধরনের সামরিক স্থাপনাকে টার্গেট করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু বা জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানো হয়নি।

তেহরানের এক অধিবাসী ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, রাজধানী তেহরানে অন্তত সাতটি প্রকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরাইল তার আত্মরক্ষার নীতি অনুসরণ করছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র সিন সাভেত এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা জেনেছি যে ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোতে ইসরাইল হামলা চালাচ্ছে। এটি আত্মরক্ষামূলক কার্যক্রম।

তবে যুক্তরাষ্ট্র এ হামলায় অংশ নিচ্ছে না বলে জানিয়েছে।

গত ১ অক্টোবর ইসরাইলে প্রায় ২০০ ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরান হামলা চালিয়েছিল। হামাস ও হিজবুল্লাহ নেতাদের হত্যার প্রতিবাদে ইরান ওই হামলা চালিয়েছিল।

সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল, জেরুসালেম পোস্ট এবং অন্যান্য


আরো সংবাদ



premium cement