১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩০, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

যেভাবে শহিদ হন ইয়াহিয়া সিনওয়ার

যেভাবে শহিদ হন ইয়াহিয়া সিনওয়ার - সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার দাবি করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে তার মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেছে ইসরাইলের সরকার ও সামরিক বাহিনী।

দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের একটি বিধ্বস্ত ভবনে ইসরাইলি ট্যাংকের গোরায় তার মৃত্যু হয় বলে দাবি করে আইডিএফ।

ইসরাইল দাবি করেছে, তারা ডিএনএ পরীক্ষা ও আরো কিছু তথ্যপ্রমাণ যাচাই করার হওয়ার পর সিনওয়ারের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, বুধবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে সেনাদের হামলায় নিহত হন হামাসপ্রধান। তবে এটি তাকে লক্ষ্য করে কোনো বিশেষ অভিযান ছিল না।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানায়, একটি বিধ্বস্ত বাড়িতে কয়েকজন যোদ্ধার উপস্থিতি টের পেয়ে তারা সেখানে হামলা চালায়। কয়েক দফা হামলা চালানোর পর বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িটিতে প্রবেশ করে সেনারা। চেহারা দেখে তারা ধারণা করে, নিহতদের একজন হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার হতে পারেন। এরপর লাশের ডিএনএ নমুন সংগ্রহ করে ইসরাইলি রেকর্ডের সাথে মিলিয়ে তারা নিশ্চিত হয় এবং সরকারিভাবে সিনওয়ারকে হত্যার কথা ঘোষণা করে।

যেভাবে শহিদ হন ইয়াহিয়া সিনওয়ার
একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে তিন যোদ্ধার চলাচলের ভিডিও ধরা পড়ে ইসরাইলি ড্রোনের ক্যামেরায়। এরপর তাদের ওপর হামলা চালায় ইসরাইলি ট্যাংক ও ড্রোন। মনে করা হচ্ছে, সঙ্গী দু’জন সিনওয়ারের বডিগার্ড ছিলেন। তারা সিনওয়ারকে নিরাপদ রাখতে চেষ্টা করেছেন।

হামলার পর তিনজনের মধ্যে দু’জন একটি বিল্ডিংয়ে ঢুকে পড়েন, তৃতীয়জন পৃথক আরেকটি বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করেন। তারা সবাই আহত ছিলেন বলে দাবি করে ইসরাইল। ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, দুই যোদ্ধার কাছ থেকে আলাদা হয়ে অন্যভবনে প্রবেশ করা যোদ্ধাটিই ছিলেন সিওনওয়ার। এরপর পাশাপাশি দু’টি ভবনেই গোলা ছোড়ে ট্যাংক। এ সময় সিনওয়ার দ্বিতীয় তলায় উঠে যান। পদাতিক সেনাদের একটি দল ভবনে প্রবেশ করতে চাইলে তিনি দুটি গ্রেনেড ছোড়েন, যার একটি বিস্ফোরিত হয় এবং সেনারা পিছু হতে বাধ্য হয়।

তারা ওই ভবনে ড্রোন পাঠিয়ে যে ভিডিও সংগ্রহ করেছে তাতে দেখা গেছে, প্রায় বিধ্বস্ত একটি ভবনে সোফায় বসে আছেন আহত একজন। তার মুখ ফিলিস্তিনি কেফিয়া দিয়ে ঢাকা। ড্রোনটির উদ্দেশে তিনি একটি লাঠি ছুড়ে মারেন। ভিডিওতে তাকে আহত ও দুর্বল মনে হয়। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, ওই ব্যক্তিই ছিলেন সিনওয়ার। এরপর আবারো ভবনে ট্যাংকের গোলা ছোড়া হয়। এবং তিনি নিহত হন। পরদিন সকালে সেনারা ভবন দু’টিতে প্রবেশ করে তিনটি লাশ দেখতে পায়।

চেহারা দেখে ইয়াহিয়া সিনওয়ার হিসেবে সন্দেহ করার পর গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের সদস্যরা তার ডিএনএ স্যাম্পল ও একটি আঙ্গুল কেটে নিয়ে যায় ইসরাইলে। পরে তার লাশও ইসরাইলে নেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ওই ভবনে নিহত একজনের কাছ থেকে রাইফেল ও কিছু মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা নিশ্চিত হয়েছি তিনি ইয়াহিয়া সিনওয়ার ছিলেন।

সিনওয়ারের কাছ থেকে পাওয়া জিনিসপত্রের যে ছবি ইসরাইল প্রকাশ করেছে, তাতে তসবি, আতর, চকলেট, কয়েকটি পুস্তিকা ও একটি পাসপোর্ট দেখা গেছে। শেষ লড়াইয়ের সময় সিনওয়ার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরা ছিলেন। মুখ বাঁধা ছিল কেফিয়ায়।

ইসরাইলি বাহিনী ধারণা করছে, সিনওয়ার রাফাহ শহর থেকে উত্তর গাজার দিকে সরে যেতে চেষ্টা করছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement
গলাচিপায় টিউবওয়েলের পাইপে উঠে আসছে প্রাকৃতিক গ্যাস সিজেএফবি’র নতুন কমিটিতে সভাপতি এনাম সরকার, সম্পাদক রানা কাঁকড়া চাষের মাধ্যমে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ঘটবে : নোবিপ্রবি ভিসি রূপালি গিটারের জাদুকরের মৃত্যুর ৬ বছর শৈলকুপায় পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু দ. আফ্রিকা টেস্টে সাকিবের পরিবর্তে হাসান মুরাদ ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার বিষয়ে ইসরাইলকে রাশিয়ার সতর্কবার্তা ফতুল্লায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা বদলে যাচ্ছে পৃথিবী থেকে ডাইনোসর অবলুপ্তির তত্ত্ব! উত্তাল বঙ্গোপসাগর, ভোগান্তিতে কুয়াকাটা ব্যবসায়ীরা ধামরাইয়ে মাইক্রোবাসে গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণ, চালক নিহত

সকল