২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চি ঠি প ত্র

-

বাংলাদেশের মহামান্য প্রধান বিচারপতি সমীপে

ধর্মাবতার, আমরা ঝালকাঠির ছয়টি নিম্নবিত্তের পরিবার জেলা প্রশাসকের সরকারি বাসভবনের দক্ষিণ দিকসংলগ্ন বসতভিটায় বাস করছি বহু যুগ ধরে। জেলা প্রশাসক আমাদের বসতভিটা গাড়ির গ্যারেজ নির্মাণের মতো তুচ্ছ বাহানায় হুকুমদখলের জন্য নোটিশ জারি করেন ১৯৯৭ সালে ও এলএ কেস দায়ের করেন। আমরা ম্যালাফাইড এলএ কেসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ৭৩৭৮/৯৭ নম্বর রিট পিটিশন দায়ের করি। কয়েক দফা তারিখের পর রায় না হওয়া পর্যন্ত এলএ কেসের ওপর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করেন। রিট দায়েরের পর ছাব্বিশটি বছর কেটে গেছে। এখন পর্যন্ত রিটের কোনো সুরাহা হয়নি। সিকি শতাব্দী মানুষের ক্ষুদ্র জীবনে দীর্ঘকাল। রিট পিটিশনের দু’জন বাদি ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। অন্যরা বৃদ্ধ হয়ে পরপারের অপেক্ষায়। এই দীর্ঘ সময়ে প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতার পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা বড় হয়ে সংসার পেতেছে। বাস করার জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করা দরকার। বাসস্থান মানুষের জীবনে মৌলিক অধিকার। আমাদের অন্য কোথাও জমি নেই এবং নতুন করে কেনার কোনো সামর্থ্য নেই।
জেলা প্রশাসকের ঔদ্ধত্য ও দম্ভের অনাচারে আমরা দুর্বল লোকেরা অতিষ্ঠ। ছলছুতায় আমাদের হয়রানি করেন। সকাল-বিকাল পুলিশ-পিয়ন পাঠিয়ে জেরবার করেন। আমরা এই দুঃসহ অবস্থা থেকে মুক্তি চাই। নাগরিক হিসেবে বাঁচতে চাই। রিট পিটিশন, ৭৩৭৮/৯৭ দ্রুত শুনানিতে উঠিয়ে এটা চূড়ান্ত করার প্রার্থনা জানাই। আবাসিক-ব্যবসায়িক পরিবেশ ও অবস্থানগত তাৎপর্যপূর্ণ শতাংশ আটত্রিশ লাখ টাকা দামের এই মূল্যবান স্বর্ণ-জমি সরকারের বর্তমান হার অনুযায়ী পারিতোষিক ব্যতীত উপযুক্ত ও যথার্থ ক্ষতিপূরণ দানের মধ্য দিয়ে, আমাদের অন্যত্র বসবাস করার সুযোগদানের মধ্য দিয়ে জেলা প্রশাসকের ক্ষমতার অপব্যবহারজনিত নির্যাতন থেকে মুক্তিদানে আজ্ঞা হয়। বিকল্প হিসেবে স্বাধীন উচ্চ আদালতের সৃজনশীল বলিষ্ঠ আইনি সিদ্ধান্ত দ্বারা জেলা প্রশাসকের বাসভবন অন্যত্র স্থানান্তরের বিরল-ব্যতিক্রম আদেশ দানের আকুতি জানাই।
মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন
নূরীয়া লাইব্রেরি, ঝালকাঠি।


নোয়াপাড়া প্রধান সড়কটি বেহাল দশা

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ৩নং দক্ষিণ দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড নোয়াপাড়ায় এক মাত্র রাস্তা সংস্কার করা অতি জরুরি। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলে মরণফাঁদে পরিণত হয়। বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় গর্ত, যার দরুন এই পথে চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য ও কঠিন।
বিভিন্ন সময় এ রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস উপর মহল থেকে কেবলি সান্ত্বÍনার বাণী হিসেবে এসেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাই, কবে রাস্তাটি সংস্কার হবো?
নোয়াপাড়া গ্রামের সচেতন নাগরিক


আরো সংবাদ



premium cement