পুরনো পেনশনারদের অশ্রু লেখা
- ২০ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
যে সব অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী ১-২-০৫ তারিখ থেকে কার্যকর ষষ্ঠ বেতন স্কেল প্রাপ্তির আগেই বা এখন থেকে আঠারো বছর আগে অবসরে গেছেন তাদের পেনশন ভাতা অল্প। অবসরে যাওয়ার আগে তারা যে পঞ্চম স্কেলে বেতন পেতেন তা ছিল সামান্য। তাই তাদের পেনশনও নগণ্য। ওই স্কেলে সর্বনিম্ন বেতন ১৫০০ টাকার পেনশন নির্ধারিত হতো ৬০০ টাকা, যা বর্তমান বাস্তবতায় হাস্যস্পদ। নতুন স্কেল জারির সময় পুরনোদের পেনশনে যে প্রণোদনা দেয়া হয় এবং শতকরা বার্ষিক পাঁচ টাকা পেনশন বৃদ্ধি, নেহায়েতই অপ্রতুল। যারা ১৮-২০ বছর আগে অবসরে গেছেন তারা এখন অতি বৃদ্ধ। জীবনের শেষ বিকেলে এসে রোগব্যাধি নিয়ে কষ্টকর এমনকি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সমাজ-বিবেচনায় তাদের সাহায্য করতে পারেন এমন স্বজন হাতেগোনা। তারা খাবি খাচ্ছেন এবং অগ্নিমূল্য বাজার দশার কারণে মারাও যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যারা সুখে অতি সুখে আছেন- যারা তুচ্ছ কারণে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, লন্ডন, ওয়াশিংটন, বেগমবাজার করেন, তারা কী করে বুঝবেন বুভুক্ষুর জরা-ব্যাধির ছটফট এসব কষ্ট?
মানবিক কারণে পুরনো পেনশনারদের শতভাগ পেনশন বৃদ্ধি, ৭৫ বছর বয়স হলে ৭ হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা, শতকরা ১৫ টাকা ইনক্রিমেন্ট, শতকরা ৫০ টাকা নববর্ষ ভাতার নিবেদন জানাই। বর্তমানের ৩ হাজার টাকা সর্বনি¤œ পেনশনের স্থলে ৭ হাজার টাকা মানবিক কারণে নির্ধারণ করা দরকার।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ-শাখা, জাতীয় স্কেল কমিটি, কেন্দ্রীয় অবসরপ্রাপ্ত সমিতি ও সমাজপ্রেমীদের প্রতি বিবেচনা ও বাস্তবায়নের আকুতি জানাই।
মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন
নূরিয়া লাইব্রেরি, ঝালকাঠি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা