২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চি ঠি প ত্র : সীমান্ত হাটের জনপ্রিয়তা

-

বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সীমান্ত হাট। বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক হৃদয় ও রক্তের। দেশ দু’টির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার জন্য উভয় দেশ শুধু সংস্কৃতি নয়- ব্যবসায়-বাণিজ্য, যোগাযোগ ইত্যাদির ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। সেদিন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কুমারঘাট হাটের উদ্বোধন করা হল। এক এক করে বেশ অনেকগুলো বর্ডার হাট বা সীমান্ত বাজার চালুর মাধ্যমে সীমান্ত এলাকার মানুষের বেচাকেনার এক অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে। বাংলাদেশ বলছে, এ ধরনের বর্ডার হাটের মাধ্যমে উভয় দেশ একে অপরকে আরো কাছাকাছি পেতে সুযোগ পাবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা বাংলাদেশ কখনো ভুলবে না এবং ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের হত্যার পর বেঁচে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাকে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দীর্ঘ দিন ভারতে ঠাঁই দিয়েছিলেন। এ অসাধারণ মানবিকতার কোনো শেষ নেই।
ভিসা পাসপোর্ট ছাড়া ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত আসার এক অভূতপূর্ব সুযোগ হচ্ছে সীমান্ত বা বর্ডার হাট। এ হাটগুলোই উভয় দেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উভয় দেশের মানুষ এ ধরনের হাটের মাধ্যমে বেশ লাভবান হচ্ছেন। বাংলাদেশের সাথে ভারতের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভালো। ভারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার। বর্ডার হাটের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত এলাকার জনগণ তাদের নিজ নিজ দেশের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করার সুযোগ পাচ্ছে। এতে করে উভয় দেশের মানুষের আন্তরিকতা শুধু বৃদ্ধি পাবে তাই নয়; দেশ দু’টির মধ্যে আরো জানার সুযোগও বাড়বে। উভয় দেশের জনগণ উভয় দেশের সীমান্ত বর্ডারে আরো হাট নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছে।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
গণমাধ্যমকর্মী
১৭, ফরিদাবাদ-গেন্ডারিয়া


আরো সংবাদ



premium cement