প্রধানমন্ত্রী সমীপে
- ০৭ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০
শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। সুশিক্ষা ছাড়া কোনো জাতিই লক্ষ্যে উপনীত হতে পারে না। যে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যত সুন্দর, সে দেশ তত উন্নত ও সমৃদ্ধ। তবে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় অসংখ্য ত্রুটি রয়ে গেছে। বিশেষ করে বেতনবৈষম্য এবং গবেষণার মূল্যায়নের অভাব প্রকট। আনুষ্ঠানিক শিক্ষাকার্যক্রমের সাথে জড়িত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খুবই কম। বর্তমানে স্বল্প বেতনে সংসার পরিচালনা করা অসম্ভব। শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগই সর্বশ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে সর্বাগ্রে শিক্ষাক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এবং শ্রম ও মেধার মূল্যায়ন করতে হবে। এমন কি, একজন সাধারণ শিক্ষকের বেতন একজন (শিক্ষাকর্মী) কর্মচারীর দ্বিগুণেরও বেশি। তাদের বেতন বেশি, তা নয়। তবুও এ নিদারুণ বৈষম্য চলে আসছে। আমাদের স্বাধীনতার মূল দর্শন ছিল বৈষম্যহীন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত শক্তিশালী দেশ গড়া। রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে আমরা উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছি। আশা রাখি, মুজিবশতবর্ষে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা অবহেলিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অফিস স্টাফদের অধিক কষ্ট নিরসনে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেবেন। এ জন্য আমরা কৃতার্থ থাকব এবং তার জন্য দোয়া করব।
মো: নাজমুল আলম
বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
কর্মচারী ফেডারেশন, কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা