করোনা চিকিৎসা ও জনগণ
- ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০
হ্যানিমান জার্মানির তৎকালীন চিকিৎসকদের মধ্যে ছিলেন একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক, যা তার খ্যাতির সাক্ষ্য। তৎকালীন চিকিৎসাশাস্ত্রের ‘অ্যালোপ্যাথি’ এটা তারই দেয়া নাম। কিন্তু চিকিৎসাজীবনে আত্মার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওই চিকিৎসা ত্যাগ করেন। আবিষ্কার করলেন ‘হোমিওপ্যাথিক’ যা সর্বকালে সর্বরোগে প্রযোজ্য, লক্ষণ সাদৃশ্যে। বিশ্ববাসীকে দেখালেন দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তির পথ। যেমনটি চমক দেখিয়েছিলেন প্রায় চার দশক আগে ঝিঁঝিঁ রোগে ‘লিডাম পাল’। আজ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্ববাসী তথা বাংলাদেশের কপালে যা-ই ঘটুক না কেন কপাল খুলেছে ‘সাহেদ’ গংদের। আবার আসছে করোনা ভ্যাকসিন, তা নিয়ে শোনা যাবে হয়তো কত কাহিনী। জাতির কপাল যে-ই, সে-ই। অন্য দিকে হোমিওপ্যাথিতে রোগের নামের প্রয়োজন নেই। হ্যানিমানের অমর বাণীÑ রোগ মাত্রই লক্ষণ দ্বারা নিজকে প্রকাশ করে দেয়, এটা বিধাতার অপার কৃপা। কাজেই প্রয়োজন নেই কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার। প্রয়োজন নেই অক্সিজেনের, প্রয়োজন হবে না ঝালকাঠি থেকে সিলেট পাঠানোর। কাজেই অস্তিত্ব থাকবে না কোনো সাহেদ গংয়ের। প্রয়োজন হবে লক্ষণ সাদৃশ্যে ওষুধ প্রয়োগে চিকিৎসা পাবে ধনী-গরিব সবাই। ভাগ্য খুলবে যারা ডাক্তারের নাম উচ্চারণ করতে ভয় পান, ধুঁকে ধুঁকে মরছেন বিনা চিকিৎসায়। হাসপাতালগুলোতে হোমিও বিভাগ থাকলে দুর্ভোগ পোহাতে হতো না রোগক্লিষ্ট অসহায় মানুষগুলোকে। রক্ষা পেতেন অকাল মৃত্যুর হাত থেকে অগণিত মানুষ। হাসপাতালগুলোতে হোমিও বিভাগ খোলার দাবি দীর্ঘ দিনের। ৮ জুলাই ২০০২ সালে ইত্তেফাক পত্রিকায় এ দাবি করেছিলাম। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও দাবি উঠেছে বারবার। সরকারের মুখে মাঝে মাঝে এ দাবি বাস্তবায়নের কথা শুনলেও কত দূর কার্যকর হয়েছে জানি না। সরকারকে আবারো অনুরোধ করব, হাসপাতালগুলোতে হোমিও বিভাগ খুলে রক্ষা করুন জাতিকে। সহজ করুন দরিদ্র গোষ্ঠীর চিকিৎসা। রোগাক্রান্ত মানুষগুলো হৃদয়ের অন্তস্তল থেকে আপনাদের দীর্ঘায়ু কামনা করবে। আল্লøাহ সবার মঙ্গল করুন।
ডা: মুহাম্মদ ইউসুফ খান
১০০, বাসাবো, ঢাকা-১২১৪
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা