করোনা ও শিক্ষাব্যবস্থা
- ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০০:৩৭
পত্রপত্রিকা মারফত জানা যায়, দশম শ্রেণী পর্যন্ত ধর্ম শিক্ষা ‘তুলে ফেলা হচ্ছে’ কিন্তু বিবেকবান মানুষ জানে, পরকালীন জবাবদিহিতার অনুভূতি ছাড়া মানুষ নীতিনৈতিকতা সম্পন্ন হিসেবে গড়ে উঠতে পারে না। তার মূলেই আছে ধর্মীয় শিক্ষা ও জ্ঞান আহরণ করা। সেটিই যদি বাদ পড়ে যায়, তাহলে...! আবার মহাব্যাধি করোনার কারণে শিক্ষাব্যবস্থায় যে কত পদ্ধতির আবির্ভাব ঘটছে, তা বিশেষ উল্লেখেযোগ্য। যেমন- পাইকারি পাসের প্রশ্নে অনেক শিক্ষানুরাগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবক আপত্তি করেছেন। জানা গেছে, লটারির মাধ্যমে ভর্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অবশ্য এর সাথে আগে থেকেই বাণিজ্য কথাটি সম্পৃক্ত হয়ে আছে।
হয়তো দেখা যাবে, কলিমুদ্দির ছেলেটা মেধাবী হলেও গরিব হওয়ার কারণে বাদ পড়ে হবে সাইকেলের মেকার, এমনকি পকেটমার। অপর পক্ষে ‘অঘা’ হলেও হীরককপালিদের পোয়াবারো। তদুপরি প্রশ্ন ফাঁস, উত্তর ফাঁস, কোটা ইত্যাদি তো আছেই।
নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রী সন্তানদের নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বর্তমান বিশ্বের ত্রাস করোনাভাইরাসের ভয়ে ছাত্রছাত্রীদেরকে প্রায় বছর কাল ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়াশোনায় অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ওই সব ছেলেমেয়ে কী করছে? এলাকায় গিয়ে এর তথ্য নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাই। আমার এলাকার কোচিং সেন্টার টাইপের স্কুলগুলোতে প্রতিদিন পর্যায়ক্রমে পাঠদান চলছে। মক্তবগুলোও বন্ধ নেই।
সর্বোপরি, প্রতিদিনই ফুটবল খেলা-ক্রিকেট খেলা মাইকিং করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যেমন- এলাকায় একটি স্কুলের মাঠে খেলা হলো যা উদ্বোধন করা হয়েছে ঘোষণা করে এবং দলীয় নেতা দিয়ে। আবার খেলার সমাপনী অতিথি ছিলেন স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেব। তৎসঙ্গে শুনেছি বিজয়ী দলের জন্য ‘বখশিশ’-জোড়া খাসি; সবারই বোধোদয় হোক।
কাজী মো: গোলজার হোসেন
ইসলামপুর, পায়রাবন্দ, মিঠাপুকুর, রংপুর
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা