২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দীঘির পাড়ে বাড়ি

-

কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার কাপাশতলা গ্রামের বড় বাড়িটির একটি ঘরসহ ওই বাড়িতে আসা-যাওয়ার রাস্তা বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ভাঙতে দেখা যায়। হয়তো বর্ষা মৌসুমে বাড়িসহ রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে যাবে যদি সরকার সুদৃষ্টি না দেয়। রাস্তার এবং বাড়ির আশপাশে ধনাঢ্য ব্যক্তি রয়েছেন যারা ইচ্ছা করলে রাস্তাটি নির্মাণসহ বাড়িকে ভাঙনের হাত থেকে মুক্তি দিতে পারেন। কিন্তু উদ্যোগ নেবে কে? তাই সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
‘ভেকু’ দিয়ে দীঘির মাটি কেটে বিক্রিসহ চারপাশে বাঁধসহ বড় খাদের সৃষ্টি করা হয়। এতে বিভিন্ন গাছ লাগানো হয়েছে। কিন্তু কিছু দিন পর মালিকের মৃত্যু এবং গাছ কেটে ফেললে অথবা কোনো কোনো গাছ মারা গেলে সৃষ্টি হয় ভাঙনের। এ ছাড়া প্রায় সময় ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করার ফলে ভাঙনের গতি আরো বেড়ে যায়। ফলে চারপাশে আজ ভাঙনের বড় ধরনের তাণ্ডব। বিশেষ করে পশ্চিম পাশে ভাঙনের মাত্রাটা বেশি লক্ষণীয়। সব পাশেই বাঁধ নির্মাণ জরুরি এবং মাটি খাদক মাছের চাষ বন্ধ করা প্রয়োজন।
দীঘির চারপাশে প্রতি বছরই পাড় বাঁধা মালিকের কাজ। কিন্তু তা না করে জালের মাধ্যমে মাছ আটকিয়ে রাখা হচ্ছে। আমরা প্রতিদিন বলছি এবং শুনে মালিক শুধু হাসেন। ঊর্ধ্বতন কর্তারা সরেজমিন এসে দীঘির বাঁধ, রাস্তা নির্মাণ এবং বেশি বেশি গাছ লাগানো ও চারণভূমি নির্মাণে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
মো: রফিকুল ইসলাম
কাপাশতলা, লালমাই, কুমিল্লা

 


আরো সংবাদ



premium cement