২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চিন্তা করে দেখবেন কি?

-

কিছু দিন ধরে মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করে দেশে দু’টি পক্ষের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ ভাস্কর্যের পক্ষে, কেউ বিপক্ষে। যারা পক্ষের, তারা সর্বজনশ্রদ্ধেয় আলেমদের বিরুদ্ধে কুরআন-হাদিসের ‘অপব্যখ্যা’র অভিযোগ তুলেছেন। তারা বিভিন্ন মুসলিম দেশেও ভাস্কর্য আছে, এমন যুক্তি দিয়েছেন। তবে কুরআন-হাদিস থেকে কোনো শক্ত দলিল উপস্থাপন করছেন না। উভয় পক্ষের শক্ত অবস্থান আরো শক্ত হওয়া ছাড়া কিছু দেখা যাচ্ছে না। এ দেশেরই অতীব নগণ্য একজন নাগরিক আমি নিজে না কোনো আলেম, আর না রাজনীতিবিদ। তাই নগণ্য ব্যক্তি এবং পরকালীন জবাবদিহিতার অনুভূতিসম্পন্ন একজন মুসলিম হিসেবে যারা বিশ্বাসী তাদের উদ্দেশে দুটো কথা তুলে ধরতে চাই। ভুল হলে আগেই ক্ষমা প্রার্থনা করছি। বাংলাদেশের স্থপতি মরহুম বঙ্গবন্ধু নিঃসন্দেহে এ দেশের অবিসংবাদিত একজন বড় নেতা। তবে তা কি ব্যক্তি মুজিব, না ভাস্কর্য মুজিব? তিনি যে শ্রদ্ধা লাভের হকদার, তা কি দেশবাসী ব্যক্তি মুজিবকে করবে, না ভাস্কর্যকে? সব দেশবাসী তার বিদেহী আত্মার কল্যাণে দোয়া করছে। তা কি ব্যক্তি মুজিবের আত্মার উদ্দেশে, নাকি নিষ্প্রাণ ভাস্কর্যের উদ্দেশে? মহান স্রষ্টা তাকেসহ প্রত্যেক মানুষের আত্মার উপরে শেষ বিচার করবেন, এ বিশ্বাস যারা পোষণ করেন, তারা কি তার আত্মার কল্যাণ কামনা করেন, নাকি তার ভাস্কর্যের?
যারা ভাস্কর্যের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তা পরিবর্তনের কোনো সম্ভবনাও নেই, তাদের কথা আর কিই-বা বলা যায়? ব্যক্তি মুজিবের পক্ষাবলম্বনকারী তথা তার আত্মার কল্যাণকামীদের কী করা উচিত তা তাদের বিবেকের উপর ন্যস্ত করে ইতি টানছি। মুজিব জীবিত থাকবেন মানুষের অন্তরে। ইতিহাস সাক্ষী হয়ে তা বয়ে বেড়াবে যুগ শতাব্দী পরম্পরায়। অপর দিকে, ভাস্কর্য মূলত ভঙ্গুর। এর সংরক্ষণ আজ মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর ব্যক্তি মুজিব চির সুপ্তিমগ্ন তার কবরে। শুধু জেদের বশবর্তী হয়ে তার আত্মার পর্বততুল্য মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে কি না, সংশ্লিষ্টরা বিবেচনা করবেন।
কাজী মো: গোলজার হোসেন
ইসলামপুর, মিঠাপুকুর, রংপুর


আরো সংবাদ



premium cement