২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

একটি প্রসঙ্গ : দু’টি কথা

-


দুই ইসলামী সংস্থার পক্ষ থেকে ভাস্কর্য স্থাপনের প্রতিবাদ। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনতার মতের প্রতিফলন। এরপর পত্রিকায় দেখা গেল, আরেক ইসলামী সংস্থা কর্তৃক ভাস্কর্যের পক্ষে বক্তব্য। তারা বলেছেনÑ মূর্তি আর ভাস্কর্য আলাদা। তবে এর বিশদ ব্যাখ্যা তারা দেননি। আসলে মূর্তি যারা বানায়, তাদের বলা হয় ‘ভাস্কর’। মুসলিম মিল্লøাতের পিতা নবী ইবরাহিম আ:-এর পিতা ভাস্কর আজর। তিনি পৌত্তলিক কারণ, কোনো মুসলিম মূর্তি বানায় না। সে জন্য পিতা-পুত্রের সম্পর্কের বিচ্ছেদের কারণই হলো মূর্তি। রাসূল সা:কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলÑ আপনার আগমনের হেতু কী? তিনি বলেছেন, ‘আমার আগমনের মিশন হলো মূর্তি উচ্ছেদ করা’। যারা ভাস্কর্য এবং মূর্তির বিভেদ টেনে দিতে চান, তাদেরকে হাদিস দেখে নেয়ার অনুরোধ জানাই। আবু দাউদ শরিফ হাদিস নং ৩২০৫, মুসলিম শরিফ হাদিস নং ২১১৯, তিরমিজি শরিফ হাদিস নং ৯৮৮, নাসাঈ শরিফ হাদিস নং-২০৩৫। রাসূল সা: কারো উপাসনালয়ে ঢুকে মূর্তি বিনাশ করার কথা বলেননি। কারণ, সে ব্যাপারে স্বয়ং মহান স্রষ্টাই নিষেধ করে দিয়েছেন। (সূরা আনআম আয়াত-১০৮)
মুসলিম শব্দের অর্থ হলো মহান স্রষ্টার সমীপে আত্মসমর্পণকারী, সূরা বাকারা আয়াত-১৩১। সে জাতি কিভাবে ‘মূর্তির সেবক’ হতে পারে? যিনি যে মাপের নেতা তিনি ভক্তের হৃদয়ে সে মাপের স্থান করে নেবেনÑ নিঃসন্দেহে। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব নবী করিম মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লøাহ সা:, প্রতিকৃতি নেই, ছায়া পর্যন্ত ছিল না। ১৪ শ’ বছর পরও আজ ইসলাম, মুসলিম ও নবীবিদ্বেষীরা অহরহই বাক ও কলম স্বাধীনতার নামে তার কাল্পনিক প্রতিকৃতি, বিকৃত কার্টুন বানিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপ করে কেন ভক্তদের মুখোমুখি হচ্ছেন? সৎ যোগ্য নেতা থাকবেন ইতিহাস পরম্পরায় প্রকৃত ভক্তের হৃদয়ে। আবেগের বশবর্তী হয়ে এ মাপের একজন জাতীয় নেতার মর্যাদা এত সস্তা হয়ে যায়নি যে, তার পরিচয়ের জন্য রাস্তার মোড়ে মোড়ে মূর্তি দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে। আর তার ছুতো ধরে মুসলিমের দেশে ভিন্ন সংস্কৃতি চালু করে নেতাকে মহান স্রষ্টার দরবারে জবাবদিহির মুখে ঠেলে দিতে হবে কেন? আল্লøাহ পাক সবাইকে সত্য বোঝার তাওফিক দিন। তবে কেউ যদি জাতীয় নেতার প্রতি আবেগকে কাজে লাগিয়ে তাদের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর হন, সেখানে আর বলার কী থাকতে পারে?
কাজী মো: গোলজার হোসেন
ইসলামপুর, পায়রাবন্দ, মিঠাপুকুর, রংপুর


আরো সংবাদ



premium cement