১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দুর্নীতি মামলায় সাবেক বিচারপতি জয়নুলের বিচার শুরু

- ছবি - ইন্টারনেট

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো: জয়নুল আবেদীন ও তার ছেলে মো: ফয়সাল আবেদীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো: বদরুল আলম ভূঞা এ অভিযোগ গঠন করেন। একইসাথে বিচারপতি মো: জয়নুল আবেদীনের ছেলে মো: ফয়সাল আবেদীন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

সোমবার দুদকের আইনজীবী রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রোববার সাবেক বিচারপতি মো: জয়নুল আবেদীন ও তার ছেলে মো: ফয়সাল আবেদীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। অভিযোগ গঠন শুনানির সময় জয়নুল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। তবে তার ছেলে ফয়সাল আবেদীন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আগামী ৩০ মে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে।

২০১৯ সালের ২১ জুলাই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক গোলাম মাওলা দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, জয়নুল আবেদীনের মোট সম্পদ এক কোটি ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ১৭৪ টাকা। তার ১৯৮২-১৯৮৩ কর বর্ষ থেকে ২০১০-১১ কর বর্ষ পর্যন্ত পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ব্যয় হয়েছে ৬৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯ টাকা। পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ অর্জিত সম্পদে এক কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ২১৩ টাকা। এর বিপরীতে আয়ের উৎস পাওয়া যায় এক কোটি ৮৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩০৪ টাকার। তার আয়ের তুলনায় নয় লাখ ৪৯ হাজার ৯০৯ টাকা বেশি সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।

মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, জয়নুল আবেদীন তার ছেলেকে ২৬ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছিলেন বলে ঘোষণা দেন, যা তার ছেলে ফয়সাল আবেদীনের আয়কর নথিতে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বিচারপতির আয়কর রিটার্নে ২৬ লাখ টাকা ঋণ দান এবং ফেরত প্রাপ্তির কোনো তথ্য নেই। বিচারপতির দাখিল করা সম্পদ বিবরণীর সাথে দাখিল করা ব্যাংক স্টেটমেন্টে (২০০৫-২০০৬ এবং ২০০৬-২০০৭ অর্থবছর) তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ২৬ লাখ টাকা উত্তোলনের তথ্য নেই। ফয়সাল আবেদীনের আয়কর নথিতে তার দায় ক্রমান্বয়ে পরিশোধ দেখানো হলেও জয়নুল আবেদীনের কাছে টাকা পরিশোধের কোনো দালিলিক প্রমাণ পাওয়া পাওয়া যায়নি, যা থেকে দুদক প্রমাণ পেয়েছে জয়নুল আবেদীন তার অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বৈধ করার জন্য ২৬ লাখ টাকা ফয়সাল আবেদীনের ফ্ল্যাটে বিনিয়োগ করেন।

এছাড়া, জয়নুল আবেদীন তার স্ত্রীর নামে সাত লাখ ৪৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ থাকার হিসাব দাখিল করেন। দুদকের তদন্তে উঠে আসে, জয়নুল আবেদীন ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তা নিজ ভোগদখলে রাখা এবং ছেলেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য দেয়া ২৬ লাখ টাকা নিজ আয়কর নথিতে ও দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে প্রদর্শন না করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। মো: ফয়সাল আবেদীন বাবার ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ২৬ লাখ টাকা জেনেশুনে বৈধ করার জন্য সম্পত্তি ক্রয় ও দখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে ৫৩ নাগরিকের উদ্বেগ ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে দুর্নীতি কে প্রশয় দেয়া হবে না : জাতীয় নাগরিক কমিটি ফতুল্লা থেকে অপহৃত ২ শিশু বরিশাল থেকে উদ্ধার মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করা শিক্ষককে চাকরিচ্যুতের দাবি টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তি ট্রাম্প আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য দিবসে রিকের র‌্যালি ও মানববন্ধন অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সভাপতি হাসান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল চুয়েটে র‌্যাগিংয়ের দায়ে ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ঢাকায় উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহার না করতে ডিএমপির নির্দেশনা তামিমের ঝড়ে জয় পেল চট্টগ্রাম তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা, কর্মকর্তা প্রত্যাহার

সকল