দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আবরার হত্যা মামলা
- আদালত প্রতিবেদেক
- ১৮ মার্চ ২০২০, ২১:২৪
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলাটি বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলী আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার গেজেট প্রকাশিত হয়। সেজন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ গেজেট প্রাপ্তির পর মামলাটি বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ বদলীর আদেশ দেন। এবং এ মামলার পরবর্তী তারিখ ৬ এপ্রিল ধার্য্য করেন।
আসামিরা হলো- বহিষ্কৃত বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার ওরফে অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মুজাহিদুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, এএসএম নাজমুস সাদাত, আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম, এস এম মাহমুদ সেতু, মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল ওরফে জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও মুজতবা রাফিদ। আসামিদের মধ্যে প্রথম ২২ জন কারাগারে ও তিনজন পলাতক রয়েছেন। আর আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত বছর ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় আবরারের বাবা ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা