বুড়িগঙ্গায় সুয়ারেজ লাইনের ব্যাপারে প্রতিবেদন প্রস্তুতের নির্দেশ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:৫৪
ওয়াসাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ৬৮টি সুয়ারেজ লাইন ছাড়া বুড়িগঙ্গার দুই পাড়ে আর কোনো সুয়ারেজ লাইন আছে কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে ওই প্রতিবেদন প্রস্তুত এবং সুয়ারেজ লাইন থাকলে এ সময়ের মধ্যে তা বন্ধ করতে বিআইডব্লিউটিএকে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত বলেছে, ওয়াসার যেসব সুয়ারেজ লাইন আছে তা বন্ধ করার দায়িত্ব সংস্থাটির নিজের।
এদিকে, পুরান ঢাকায় ২৭টি প্রতিষ্ঠানের বাইরে আর কোনো প্রতিষ্ঠান পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া পরিচালিত হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট। পরিবেশ অধিদফতরকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে পরিবেশ অধিদফতর হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছিলো, ১০টি হাসপাতাল এবং ১৭টি বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই তাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। ওই সময় হাইকোর্ট বলেছিলো, যেসব প্রতিষ্ঠান ইটিপি স্থাপন করেনি, তাদের তিন মাস সময় দেয়া হলো। এই সময়ের মধ্যে ইটিপি স্থাপন করতে না পারলে ওইসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেয়া হলো। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে আমাতুল করিম ও ওয়াসার পক্ষে এ এম মাছুম, বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষে সৈয়দ মফিজুর রহমান শুনানি করেন।
ওয়াসার হলফনামা উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ:
বুড়িগঙ্গায় ওয়াসার ১৬টি সুয়ারেজ লাইন রয়েছে এমন তথ্য সম্বলিত হলফনামা উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। নতুন হলফনামা দাখিলের জন্য সময় চাইলে আদালত সোমবার পর্যন্ত সময় দেন। ওই হলফনামা দাখিলের পরই এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দিবে হাইকোর্ট।
এর আগে ওয়াসা হলফনামা দিয়ে হাইকোর্টে বলেছিলো, ঢাকা ওয়াসার অধিক্ষেত্রে প্রায় ৯৩০ কিলোমিটার পয়ঃলাইন রয়েছে। উক্ত পয়ঃলাইনের কোনো মুখ বা আউটলেট বুড়িগঙ্গা কিংবা অন্য কোনো প্রাকৃতিক জলাধারে পতিত হয়নি, বরং ঢাকা ওয়াসার নিয়ন্ত্রণাধীন পয়ঃলাইনের মুখ বা আউটলেট পাগলা পয়ঃশোধনাগারে পতিত হয়েছে। পাগলা পয়ঃশোধনাগারে পতিত পয়ঃবর্জ্যসমূহ পরিশোধন করা হয়। তখন বিআইডব্লিউটিএ প্রতিবেদন দিয়ে বলে, ঢাকার শ্যামবাজার, চরকালীগঞ্জ, মিলব্যারাক, গোসাইবাড়ী, পোস্তগোলা, কদমতলী, শ্যামপুর, ফতুল্লা, পাগলা বাজার, সদরঘাট, লালবাগ, ওয়াইজঘাট, বাবুবাজার, কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীরচর, লালকুঠির ৫৫টি এলাকা দিয়ে ওয়াসার স্থাপিত সুয়ারেজ লাইন দিয়ে তরল শিল্প বর্জ্য, হাসপাতালের বর্জ্য, দূষিত পানি, গৃহস্থালি বর্জ্য বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা