৫ দেশে নারী কর্মী পাঠানো বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৩২
সমঝোতা চুক্তিতে আইনি সুরক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে বিদেশে বিশেষ করে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের ৫টি দেশে নারী কর্মী পাঠানো বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে সোমবার হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। কক্সবাজারের এক বাসিন্দা এ রিট করেন। মঙ্গলবার এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী জামান আক্তার বুলবুল।
সৌদি আরব ছাড়া অপর চার দেশ হলো- ইরাক, সিরিয়া, লেবানন ও জর্ডান।
রিট আবেদনে আইন, স্বরাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারককে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপনে বিবাদীদের ব্যর্থতা, মানবপাচার প্রতিরোধে ২০১২ সালে করা মানবপাচার দমন ও প্রতিরোধ আইন কার্যকর করতে কোনো পদক্ষেপ না নেয়া এবং আইনি সুরক্ষা ছাড়া মধ্য প্রাচ্যের ৫টি দেশে নারী কর্মী পাঠানো বন্ধ রাখার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে রিটকারীর এক শিশুর বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনের মামলার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
গত বছর রামুর হাজিপাড়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম (৪১) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে একটি পিটিশন মামলা করেন। মামলায় রামুর চাকমারকুল এলাকার ওই শিশুসহ ৬ জনকে আসামি করেন। ঘটনা দেখানো হয় ২০১৪ সালের ২০ জুন রাত এবং ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর।
অভিযোগে বলা হয়, বিনা খরচে মালয়েশিয়ায় ভালো বেতনে কাজ দেবে বলে ওই বছরের ২১ জুন সাগরে ছোট নৌকা দিয়ে জাহাজে তুলে দেয়া হয়। কয়েকদিন পরে জাহাজ থেকে থাইল্যান্ডে উপকূলীয় পাহাড়ের জঙ্গলে নামিয়ে দেয়া হয়। সেখানে দালালরা মারধরে মুক্তিপণ দাবি করে। মোবাইল ফোনে স্বজনদের কাছ থেকে ওই শিশুসহ এক ও দুই নম্বর আসামি দুই লাখ টাকা নেন। পরবর্তীতে আরও এক লাখ টাকা নেয়ার পর মালয়েশিয়া পৌঁছান নুরুল ইসলাম। ২০১৭ সালের জুন মাসে মালয়েশিয়া অভিযানকালে তিনি আটক হন। এক বছর জেল খাটার পর দেশে ফেরত এসে মামলা করেন।
পরে হাইকোর্টে আবেদন করে ২৮ অক্টোবর জামিন পায় ওই শিশু। সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা