২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৩ রজব ১৪৪৬
`

১৬ বছর পর জামিনে মুক্ত তিন শতাধিক বিডিআর সদস্য

কারাগার থেকে বের হয়ে আসছেন সাবেক বিডিআর সদস্যরা - ছবি : ইউএনবি

ঢাকার পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক মামলায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) তিন শতাধিক সদস্য ১৬ বছর কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এবং গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বন্দীরা বের হতে শুরু করেন।

এর মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১৭৮ জন এবং কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২৬ জন বিডিআর সদস্যকে মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে রোববার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া বিস্ফোরক মামলায় বিডিআর সদস্যদের জামিন মঞ্জুর করেন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে অস্থায়ীভাবে আদালত স্থাপন করা হয়।

মঙ্গলবার কারা কর্তৃপক্ষ জামিন পাওয়া আসামিদের তালিকা প্রকাশ করেছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বন্দিদের মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দুই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জেলার এ কে এম মাসুদ জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ ১৭৮ জন বন্দীকে মুক্তি দিতে শুরু করেছে। বাকিদের পরে ছেড়ে দেয়া হবে।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩৮ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে।

এসময় স্বজনরা মুক্তিপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যদের কারা ফটকে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে মিষ্টি খাওয়ান।

অনেককে তাদের প্রিয়জনদের সাথে সাক্ষাতে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর হেডকোয়ার্টারে বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর একটি হত্যা মামলায় ১৫০ জন বিডিআর সদস্য ও দুই বেসামরিক নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট ১৫২ আসামির মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর সরকার বিদ্রোহকবলিত আধাসামরিক বাহিনী বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করে। একইসাথে বাহিনীর পোশাকেও আনা হয় পরিবর্তন।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement