পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে রুলের শুনানি আজ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৩
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলে আজ বুধবার আবার শুনানি হবে। গত ৩০ অক্টোবর প্রথম দিনের শুনানির পর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এই তারিখ রেখেছিলেন।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি গত আগস্টে রিট করেছিলেন। অন্য চার আবেদনকারী হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
রিটে পঞ্চদশ সংশোধনী স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক শুনানির পর গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না জানতে চাওয়া হয় রুলে।
গত ২০ অক্টোবর জারি করা রুল শুনানিতে তুলতে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চে উত্থাপন (মেনশন) করে রিট আবেদনকারী পক্ষ।
পরদিন রিটটি আদালতের কার্যতালিকায় তোলা হয়। সেদিন ৩০ অক্টোবর রুল শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। সেই ধারাবাহিকতায় ওই দিন শুনানির পর আজ বুধবার পরবর্তী শুনানির দিন রেখেছিলেন হাইকোর্ট।
পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল সমর্থন করে তাতে ইন্টারভেনার (সহায়তাকারী) হিসেবে যুক্ত হতে ২৮ অক্টোবর আবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব।
ওই দিনই তার আবেদনটি মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে গত ২২ অক্টোবর একই আবেদন করে রুলে যুক্ত হন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। বিচারাধীন রুলে ইন্টারভেনার হিসেবে যুক্ত হতে গতকাল মঙ্গলবার আবেদন করেন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান আল্লামা ইমাম হায়াত। আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আইনজীবী আব্দুর রউফ ও ইশরাত হাসান।
২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন।
ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়া হয়। এ ছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনসংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়; সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয়।
রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয় এই সংশোধনীর মাধ্যমে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা