জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আপিল শুনানির উদ্যোগ খালেদা জিয়ার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সাথে ছিলেন আইনজীবী মো: মাকসুদ উল্লাহ।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমরা এই মামলার আপিল শুনানির উদ্যোগ হিসেবে আদালতে গিয়েছি। এ জন্য আমরা কোর্টের অনুমতি নিয়ে নিজেরা পেপারবুকটা তৈরি (আপিলকারির খরচে) করে আপিল শুনানি করতে পারি, সে আবেদন করেছিলাম। সে আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছেন। পেপারবুক প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও কায়সার কামাল বলেন, এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড মওকুফ করা হয়েছে। তারপরও আপিল শুনানি কেন? আমরা বলেছি, তিনি (খালেদা জিয়া) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি মওকুফ করেছেন। তবে এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে তিনি আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং, তাড়াতাড়ি পেপারবুক তৈরি করে আপিল শুনানির জন্য আদালতের কাছে নিয়ে আসব।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫’র বিচারক মো: আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একইসাথে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মরহুম সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। সে সময় হারিছ চৌধুরী পলাতক হন। বাকি আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হলে দুদকের পক্ষে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর রায় ঘোষণা করা হয়।