২০০ ছাত্রকে হত্যা : পুলিশ কর্মকর্তা শহীদুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:২০
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সাভার অঞ্চলে দুই শ’র মতো ছাত্রকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা এবং আলোচিত (এপিসি ফেলে) আসাদুল ইয়ামিন হত্যার ঘটনায় গণগত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার পুলিশ কর্মকর্তা শহীদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বিচারপতি মো: গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দিয়েছেন। একই সাথে আগামী ২০ নভেম্বর তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। বুধবার রাতে তাকে ঢাকার বাইরে থেকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানায় নিয়ে আসা হয়। শাহবাগ থানা পুলিশ সকালে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসে।
গত ২৭ অক্টোবর ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এই পুলিশ কর্মকর্তাদের একজন শাহিদুল। তার সবশেষ কর্মস্থল কক্সবাজার। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, শাহিদুলকে বুধবার কক্সবাজারে গ্রেফতার করে পুলিশ। কক্সবাজার থেকে নিয়ে এসে তাকে আজ সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে সাভার অঞ্চলে দুই শ’র মতো ছাত্রকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যার অভিযোগ আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত আসাদুল ইয়ামিন নামের এক ছাত্রকে হত্যা। তাকে গুলিবিদ্ধ, অচেতন অবস্থায় এপিসি (আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) থেকে ফেলে দেয়া হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারে।
তাজুল ইসলাম আরো বলেন, সাভার অঞ্চলে যে শহীদ ও অসংখ্য মানুষকে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে, ওই সময় শাহিদুল সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। তদন্ত সংস্থা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। এ কারণে ট্রাইব্যুনালের কাছে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছিল।
এর আগে, গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। আর বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ২০ জনকে হাজির করতে ২৭ অক্টোবর নির্দেশ দেন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল। সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, দীপু মনি, ফারুক খানসহ ১৪ জনকে ১৮ নভেম্বর হাজিরের নির্দেশ দেন।
২০ নভেম্বর হাজির করতে বলা হয় সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কমকর্তা জিয়াউল আহসানসহ আরো ৬ জনকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা