২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণায় হাইকোর্টের রুল

হাইকোর্ট - ছবি : নয়া দিগন্ত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনে নিহতদের কেন ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি মো: কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি গ্রহণ করে এ রুল জারি করেন।

একইসাথে ঐতিহাসিক এই আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আহত ও গ্রেফতারদের কেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করা হবে না এবং ৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতো এদের কেন আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পুনর্বাসন করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সাথে ছিলেন আইনজীবী মো: রায়হান আলম ও মো: মাকসুদ উল্লাহ।

হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে আইনজীবী রায়হান আলম জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ এবং আহত ও গ্রেফতারদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’ কেন ঘোষণা করা হবে না, নিহতদের পরিবারকে কেন পুনর্বাসন করা হবে না, সব আহত ও গ্রেফতারদের ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া মাসিক সুবিধার সমপরিমাণ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

তিনি বলেন, যারা গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যবরণ করেছেন, যাদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং যাদেরকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে, এই মানুষগুলোর অবদানের পেছনে আজকে আমরা দাঁড়িয়ে আছি একটা ফ্যাসিস্টমুক্ত অবস্থানে। একই সাথে যারা আহত হয়েছেন, যাদের এক চোখ বা দুই চোখ নেই। যাদের এক পা বা দুই পা নেই। এভাবে যারা আহত হয়েছেন, তাদের কেন মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করা হবে না, সে মর্মে আমি রুল জারির আবেদন করি। আদালত দীর্ঘ শুনানির পর আবেদন মঞ্জুর করে রুল জারি করেছেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করেন চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী নাজির শাহীন।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪২৩ জন নিহত হয়েছেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য সচিব ও সমন্বয়ক তারেকুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তারেকুল ইসলাম জানান, আমরা ১ হাজার ৪২৩ জন শহিদের একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করতে পেরেছি। তবে এর মধ্যে সংযোজন-বিয়োজন হবে।

তিনি আরো বলেন, আন্দোলনকে ঘিরে ২২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৮৭ জনের অঙ্গহানি হয়েছে। গুলি লেগে আংশিক বা সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন ৬৮৫ জন। ৯২ জনের দুই চোখেই গুলি লেগেছে, দুই চোখই নষ্ট হয়ে গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
লেবাননে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছে দূতাবাস বৃহস্পতিবার জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের সাথে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস বাংলাদেশে নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের চাপ বাড়ছে : ফারুক-ই-আজম জাস্টিন ট্রুডোর সাথে বৈঠক করেছেন ড. ইউনূস লঘুচাপের প্রভাবে পায়রা বন্দরে ৩ নম্বর সঙ্কেত নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে বিস্ফোরিত গোলাবারুদের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের আবারো মূল নীতি হার বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী আর নেই ড. ইউনূসের সাথে বৈঠক, অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস জো বাইডেনের যশোরে আলোচিত সেই রফিক ও স্ত্রী ঝর্নার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ব্রিকস সম্মেলনে যাবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট, বৈঠক হবে পুতিনের সাথে

সকল