২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
হেলথ টিপস

হলুদের ৮ গুণ

-

রান্নাঘরের খুবই সহজলভ্য মসলা হলুদ। ‘সোনালি মসলা’ হিসেবে পরিচিত এ হলুদ কেবল তার স্বাদ ও রঙের জন্যই পরিচিত নয়, বরং এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক বেশি। হলুদের অন্তত আটটি গুণের কথা গবেষকরা জানিয়েছেন।
ব্যথা উপশম : পেশি ও জয়েন্টের ব্যথা কমাতে খাবারে হলুদ যোগ করা যেতে পারে। এটি হৃদ্রোগ ও আর্থরাইটিসের মতো জয়েন্টের সমস্যার বিভিন্ন অবস্থার ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ : হলুদে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে ফ্রি র‌্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর প্রভাব বার্ধক্য কমিয়ে দেয় এবং অনেক রোগের ঝুঁকি কমায়।
লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায় : হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রভাব মানুষকে টক্সিনের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি দেয় এবং লিভারের সক্ষমতা বাড়ায়।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় : ‘জার্নাল অব নিউট্রিয়েন্টস’-এ প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, ক্যান্সারের চিকিৎসায় হলুদকে উপকারী ভেষজ হিসেবে দেখানো হয়েছে। এটি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিকাশকে বাধা দেয়।

হজমে সাহায্য করে : হলুদ চর্বি দ্রুত হজম করতে এবং অন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (আইবিএস) মতো হজমের রোগের লক্ষণ কমায়।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায় : নিউরাল রিজেনারেশন রিসার্চে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখানো হয়েছে, হলুদ স্মৃতিশক্তি এবং জ্ঞানীয় কার্যকারিতা বাড়াতে পারে।
প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য : পেশি ও জয়েন্টের ব্যথা কমাতে ডায়েটে হলুদ যোগ করা যেতে পারে। এতে কার্কিউমিন নামক একটি বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ রয়েছে, যা ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া প্রদাহ কমাতে এবং সাধারণ ব্যথা প্রশমিত করতে সাহায্য করে হলুদ। এটি হৃদ্রোগ ও আর্থ্রাইটিসের মতো জয়েন্টের সমস্যার বিভিন্ন অবস্থার ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিষণ্নতা নিয়ন্ত্রণ : হলুদ উদ্বেগ ও বিষণ্নতার ঝুঁকি কমিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। তবে এটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ঐতিহ্যগত চিকিৎসার বিকল্প নয়। ইন্টারনেট।

 

 

 


আরো সংবাদ



premium cement