১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

আসামে মুসলিম উচ্ছেদে ৩ জনকে গুলি করে হত্যা

৫০ জন আহত
-

ভারতের আসামে বাংলাদেশী তকমা দিয়ে সত্তর বছরের পুরনো মুসলিম নাগরিকদের উচ্ছেদ করছে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বাধা দিলে মুসলিমদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার উচ্ছেদের সময় পুলিশ তিন মুসলিমকে গুলি করে হত্যা করে, এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। বাড়ির বৈধ কাগজপত্র ও নাগরিক আইডি থাকা সত্ত্বেও রেহাই পাচ্ছেন না মুসলিমরা। গতকাল শনিবার ভারতের ত্রিপুরার দৈনিক দেশের কথা পত্রিকায় এ খবর প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বিধানসভায় মুসলিম উচ্ছেদের ঘোষণা করে। এ ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার উজান আসামে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলে রাজধানী গুহাটীর অদূরে কচুতল গ্রামের মুসলিমরা বাড়িঘর ছেড়ে যেতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ মুসলিমদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলে হায়দার আলী (৫০) ও জুবাহীর আলী (১৯) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় এবং আহত হয় অন্তত ৫০ জন। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজন মারা যায়। গুলি চালনার পর মুখ্যমন্ত্রী শর্মা বলেন, কচুতল গ্রাম উপজাতি বেল্টের জমি। এই জমিতে বাংলাদেশী মুসলিমরা বসতি গড়েছে। তাই তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এই গ্রামে পাঁচ হাজার মুসলিম রয়েছে। কিছু দিন পর ২৫ হাজার হবে। এতে বিপদ ডেকে আনবে। তাই তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। উচ্ছেদ করার সময় নাকি স্থানীয় মানুষরা বাংলাদেশে যে স্লোগান দেয়া হয়, এই স্লোগান দিয়েছেন বলেও হিমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেছেন।

খবরে স্থানীয় মানুষদের বরাত দিয়ে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আচমকা শত শত পুলিশ গ্রাম ঘিরে ফেলে আধঘণ্টার মধ্যে বাড়ি খালি করার নির্দেশ দেয়। তখন স্থানীয়রা পুলিশের কাছে জানতে চান কেন তারা বাড়ি খালি করবে। এই গ্রামে ৬০-৭০ বছর ধরে তারা বসবাস করছেন। তাদের এনআরসি ও ভোটার তালিকায় নাম আছে। তা ছাড়া জমির নথি, আধার কার্ড আছে তাদের অনেকে সরকারি আবাস, বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছেন। একসময় পুলিশের সঙ্গে কয়েকজন মহিলার কথাকাটাকাটি চলার সময় নির্বিচারে গুলি চালানো শুরু করে পুলিশ। পুলিশের গুলিতে আহতদের মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা ও স্কুলের ছাত্রছাত্রী। উচ্ছেদ অভিযানের সময় সাংবাদিকদেরও গ্রামে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ।
গত শুক্রবার ঘটনাস্থলে যায় সারা ভারত কৃষকসভার এক প্রতিনিধিদল। তারা বলেন, এই এলাকার মানুষ দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে গুলি করে হত্যা করে গ্রামছাড়া করছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। রাইজর দলের সভাপতি আসামের বিধায়ক অখিল গগৈ বলেন, কচুতল গ্রামের জমি উপজাতি বেল্টের নয়। মিথ্যা প্রচার করে সংখ্যালঘুদের হত্যা করছেন। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, সরকারি অফিস বলছে এখানে কোনো জমি বেদখল হয়নি। অথচ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন উপজাতি বেল্টের জমি নাকি মুসলিমরা বেদখল করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ও সরকারি অফিসের বক্তব্যের আকাশ পাতাল ফারাক। রাজধানী শহরের পাশে এই জমি পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিতে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়িয়ে গরিব মানুষদের ওপর গুলি চালিয়ে হত্যা করে উচ্ছেদ করছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এ অভিযোগ করেন তিনি।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফটিকছড়িতে বন্যার্তদের পুনর্বাসনে সহায়তা দিলো সেনাবাহিনী কর্ণফুলীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা বিসিএসআইআর চেয়ারম্যান হলেন সামিনা আহমেদ সোনারগাঁওয়ে নদ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতের সাথে সমন্বয়ের দাবিতে জেলেদের পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ ঢাবি কর্তৃপক্ষের ঢাবিতে পিটিয়ে মারা তোফাজ্জলের পাথরঘাটার বাড়িতে শোকের মাতম আরো ৩ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভিসি মশা নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে : ডিএনসিসির সিইও পিলখানা হত্যাকাণ্ডে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি

সকল