১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩০, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

১ আগস্ট পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের ৪ পরীক্ষা স্থগিত

পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৬০ জেলায় স্কুল-কলেজ খুলবে রোববার
-

দেশের বিরাজমান অবস্থায় আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের চার পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। অপর দিকে পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী রোববার থেকে পর্যায়ক্রমে দেশের চার জেলা বাদে অন্য ৬০ জেলায় স্কুল-কলেজ খুলবে রোববার থেকে। যদিও এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ঢাকাসহ চার জেলা বাদে দেশের ৬০ জেলার সব স্কুল-কলেজ আগে খুলে দেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে আগামী রোববার থেকে পর্যায়ক্রমে এসব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্য দিকে দেশব্যাপী কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতিতে আাগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত চলমান এইচএসসি ও সমমানের চারটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড এ ঘোষণা দিয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আগামী ২৮, ২৯ ও ৩১ জুলাই এবং ১ আগস্টের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে। অবশ্য এর আগেও কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে আরো দুই দফায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড অনিবার্য কারণ দেখিয়ে প্রথমে ১৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় সব শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত তিন দফায় এইচএসসি ও সমমানের ৮টি পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় দেশের আটটি সিটি করপোরেশন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। চালু ছিল জেলা ও উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে ২১, ২২ ও ২৩ জুলাই ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ও বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিন : আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন
এ দিকে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রফেসর ড. এম কোরবান আলী এবং জেনারেল সেক্রেটারি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য অধ্যাপক এ বি এম ফজলুল করীম এক যৌথ বিবৃতিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের ওপর ছাত্রলীগসহ প্রশাসন কর্তৃক হামলা ও গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে কারফিউ তুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement